মাসিকের সময় ১৫ বছর ধরে ছুটি দিচ্ছে এই সংস্থা
চাকরিতেও মাসিকে ছুটির একটা ধারনা যে হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছিল এই ছোট্ট সংস্থাটি। নিঃশব্দে তারা পার করেছে ১৫টি বছরও।
কোনও প্রশ্ন করা হবেনা। ছুটি বাঁধা। এই সংস্থার কর্মী হলে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না কেউ। এ সিদ্ধান্ত যেহেতু স্বয়ং মালিকের, তাই কোনও কর্মী এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস দেখাতে পারেননি। তবে এটাও যে সম্ভব এবং এভাবেও যে ভাবা যেতে পারে তা ওই একটি ছোট্ট সংস্থা দেখিয়ে দিয়েছিল ভারতকে।
শুধু তাই নয়, ১৫ বছর ধরে তারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। তাদের সংস্থায় কর্মরত মহিলারা প্রতিমাসে মাসিকের জন্য ছুটি পাবেন। প্রতিমাসে ৫ দিন মাসিকের ছুটি বরাদ্দ তাঁদের জন্য। আর সে ছুটি সবেতন হবে।
অর্থাৎ মাইনে থেকে টাকা কাটা যাওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। এ নিয়ে সংস্থার কোনও পুরুষকর্মীও কখনও প্রশ্ন তোলেননি। আর এ নিয়ম আজ নয়, ২০১০ সালে চালু করেছিলেন সংস্থার মালিক উত্তম জৈন।
মুম্বইয়ের শ্রী লক্ষ্মী স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ কিন্তু উত্তম জৈনের মাথায় আসা এই ভাবনার হাত ধরে এগিয়ে ১৫ বছর কাটিয়ে ফেলেছে। অন্য সংস্থা এই ভাবনা বিশ্বাস করুক বা না করুক, উত্তম জৈন নিজের ভাবনা থেকে বার হননি। বদলাননি সংস্থার প্রথা।
এখন মহারাষ্ট্র জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করেছে। ছাত্রীরা প্রতিমাসে ১ দিন করে মাসিকের ছুটি পাবেন। আর সেজন্য কোনও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাগবেনা।
১৫ বছর আগে যে পথ দেখিয়েছিলেন উত্তম জৈন, এখন এক এক করে সেই পথে কি সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান চলতে শুরু করবে? এর উত্তর অবশ্য দিতে পারে কেবল সময়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা