সাঁতরে শ্রীলঙ্কা থেকে রামেশ্বরম পৌঁছনোর চেষ্টা ৭৮ বছরের বৃদ্ধের
শ্রীলঙ্কা থেকে রামেশ্বরম পর্যন্ত তাঁরা কোনও জলযানে নয়, সাঁতরে পার হবেন। এটাই স্থির করে অন্যদের সঙ্গে জলে নামেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধও।
শ্রীলঙ্কার তালাইমান্নার থেকে ভারতের রামেশ্বরমের ধনুষ্কোটির দূরত্ব মাত্র ২৪ কিলোমিটার। এই জলপথটুকু পার করতে পারলেই ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যাওয়া যায়। ৩১ জন সাঁতারুর একটি দল স্থির করেছিল এই পথ তারা সাঁতরে পার হবে। তবে রিলে পদ্ধতি মেনে।
সেইমত তারা সব ধরনের ছাড়পত্র ভারত ও শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছ থেকে জোগাড় করে। তারপর রামেশ্বরম থেকে নৌকায় করে পৌঁছে যায় ২২ এপ্রিল। যে দলে নানা বয়সের মানুষ ছিলেন। ছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৭৮ বছরের গোপাল রাও।
২৩ এপ্রিল খুব ভোরে এই দলটি জলে নামে। শুরু হয় ধনুষ্কোটি সাঁতরে পৌঁছনোর চেষ্টা। দলের যিনিই সাঁতার কাটছিলেন তাঁকে ঘিরে যাচ্ছিল নৌকা। তাঁর দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে বৃদ্ধ গোপাল রাও সাঁতার কেটে এগোতে থাকেন।
কিছুটা সাঁতার কাটার পর তিনি জানান তাঁর শরীর ঠিক লাগছে না। দ্রুত তাঁর পাশে পাশে চলা নৌকায় গোপাল রাওকে তুলে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরাও ছিলেন সেখানে।
তাঁরা গোপাল রাওকে পরীক্ষা করে দেখেন। পরীক্ষা করার পর অবশ্য গোপাল রাও আর বেঁচে নেই বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার পর এই রিলে সাঁতার আর এগোয়নি।
ওই জায়গায় থামিয়ে সকলে নৌকায় করে ফিরে আসেন ধনুষ্কোটিতে। সেখান থেকে রামেশ্বরমের সরকারি হাসপাতালে গোপাল রাওয়ের দেহ পাঠানো হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা