বৃষ্টি চাইনা, অসহ্য গরমের মাঝেই দেশের একাংশের এখন এটাই প্রার্থনা
আর সহ্য হচ্ছেনা এই অসহনীয় গরম। মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন কবে হবে বৃষ্টি। এদিকে দেশের একাংশের মানুষ প্রার্থনা করছেন আর বৃষ্টি তাঁদের চাইনা।
টানা ৪০ ডিগ্রির ওপর গরম ঘোরাফেরা করছে। এপ্রিল জুড়ে বৃষ্টি নেই। গরমের হাত থেকে কবে রেহাই মিলবে তারও কোনও ইঙ্গিত দিতে পারছেনা আবহাওয়া দফতর। বরং পূর্বাভাস বলছে গরম আরও বাড়বে।
তাপপ্রবাহে একটু বেলা বাড়লে রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে যাচ্ছে। পারদ কিন্তু বেড়েই চলেছে। এই অসহনীয় পরিস্থিতির মাঝে মানুষের একটাই প্রশ্ন কবে নামবে বৃষ্টি?
সে উত্তর আবহাওয়া দফতরের কাছেও নেই। বরং এখন এই গরমের হাত থেকে রেহাই নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু এই পরিস্থিতির মাঝে দেশের একাংশ চাইছে আর বৃষ্টি দরকার নেই। বৃষ্টি না হলেই তাঁরা বাঁচেন।
কেন এমন উল্টো ভাবনা? গোটা দেশ যখন আগুনে গরমে ঝলসে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছে গেছে, তখন একমাত্র ব্যতিক্রম জম্মু কাশ্মীর। এখানে প্রবল বৃষ্টিতে বেহাল জনজীবন।
ঝিলম সহ বিভিন্ন নদীর জল বেড়ে চলেছে। কিন্তু বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না। অতিবৃষ্টিতে নিচু এলাকাগুলিতে বন্যার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই।
আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে এমন পরিস্থিতি চলবে বলেই জানানো হয়েছে। তারপর কিছুটা কমতে পারে বৃষ্টির দাপট। আবহাওয়ার উন্নতি হবে।
নদীগুলিতে এতটাই জল বেড়ে গেছে যে নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষজনকে দ্রুত সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বৃষ্টি কি পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দিকেও নজর রেখেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জোজিলা, সিন্থন পাস, রাজদান পাস, মুঘল রোড সহ উঁচু এলাকায় বৃষ্টির জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখন জম্মু কাশ্মীরের মানুষের একটাই প্রার্থনা। বৃষ্টি থামুক। আর দরকার নেই বৃষ্টির। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা