মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল ২৫০০ বছরের পুরনো যজ্ঞকুণ্ড
আড়াই হাজার বছর আগেও এর ব্যবহার ছিল। মাটি খুঁড়ে যা পাওয়া গেল তা গবেষকদের অবাক করেছে। আরও কিছু জিনিস মিলল মাটির তলা থেকে।
মাটি খুঁড়ে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায় যার গুরুত্ব অপরিসীম। এমনই কিছু জিনিস সামনে এসেছে যা গবেষকদেরও অবাক করে দিয়েছে। রাজস্থানের ভরতপুর ডিভিশনের বহজ গ্রামে মাটি খুঁড়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-র প্রত্নতাত্ত্বিকরা এক যজ্ঞকুণ্ডের দেখা পেয়েছেন।
আড়াই হাজার বছর আগেও যে এখানে পুজোর অঙ্গ হিসাবে যজ্ঞকুণ্ডের ব্যবহারে যজ্ঞ হত সে সম্বন্ধে নিশ্চিত গবেষকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা জানতে পেরেছেন সে সময় এই যজ্ঞকুণ্ডে যজ্ঞ হওয়ার পর সেখানকার মাটি আলাদা করে রাখা হয়। যার আলাদাই গুরুত্ব ছিল।
শুধু যজ্ঞকুণ্ড বলেই নয়, এছাড়াও কিছু ধাতব জিনিস ও কয়েনের দেখা পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। হাড় দিয়ে তৈরি যন্ত্রও পেয়েছেন তাঁরা। পোড়া মাটির জিনিসেরও দেখা পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। স্বাস্থ্য ও ঔষধের দেবতা হিসাবে খ্যাত অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের মূর্তিও পাওয়া গিয়েছে মাটি খুঁড়ে।
এখানে খননকাজ শুরু করার আগে গবেষকেরা এখানে এসে পরীক্ষা চালান। তাঁদের ধারনা হয় এখানে মাটি খুঁড়লে অনেক প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে। সেইমত চিঠি যায় কেন্দ্রের কাছে।
কেন্দ্রে অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পর এখানে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শুরু হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করছেন এখানে খনন চালিয়ে আরও কিছু প্রাচীন জিনিস উদ্ধার হতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে খনন থেকে পাওয়া জিনিসপত্র পরীক্ষা করে এমন সব তথ্য সামনে এসেছে যা প্রচলিত ধারনাকে ভেঙে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা