স্বামীকে নিজের মুণ্ড দিয়ে উদ্বুদ্ধ করা বীর রমণী এবার সকলের সামনে
তিনি চেয়েছিলেন মোগলদের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী বীরের মত লড়াই করুন। স্বামীকে উদ্বুদ্ধ করতে নিজের মুণ্ড উপহার দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই রানি সকলের সামনে।
তাঁর তখন ১৬ বছর বয়স। তখন তিনি রানি। রাজপুত রানি। কথিত আছে রাজপুত নারীরা সাহসে পুরুষদের তুলনায় কেউ কম যেতেননা। সাহাল কানোয়ারও তার অন্যথা ছিলেননা। তিনি যা করেছিলেন তা আজও লোকের মুখে মুখে ঘোরে।
হাদির রানি ছিলেন বলে তাঁকে বলা হয় হাদি রানি। আর সেই হাদি রানি তাঁর ১৬ বছর বয়সে স্বামীকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নিজের মুণ্ড কেটে ফেলেন। নিজের মুণ্ড কেটে স্বামীকে ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
নিজের রাজ্যের জন্য এভাবে জীবন বিসর্জন দিয়ে যে বীরত্বের গাথা তিনি রচনা করেছিলেন তা আজও রাজপুত বীরত্বের এক অন্যতম কাহিনি হয়ে রয়ে গেছে।
এবার সেই বিখ্যাত হাদি রানির মুণ্ড ও বাকি দেহ নিয়ে একটি মোমের মূর্তি তৈরি হয়েছে। যা সকলের সামনে আনা হবে। একটি বিশেষ শোয়ের আয়োজন করে হাদি রানির মূর্তি সকলের সামনে আনা হবে।
পর্যটকদের জন্য হাদি রানির এই মোমের মূর্তির পাশাপাশি তাঁর অমর গাথাও তুলে ধরা হবে। যা করা হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড-এর মাধ্যমে। এর মাধ্যমে হাদি রানির সেই দেশের মাটির জন্য চরম আত্মত্যাগের বীরত্বের কাহিনি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে।
জয়পুরের মিউজিয়ামে এই বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই হাদি রানির গাথা ও মোমের মূর্তি সকলের সামনে আনতে চলেছে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা