৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল বোতলে ভরা স্তন্যদুগ্ধ, দ্রুত হল ব্যবস্থা
মাতৃদুগ্ধ পান শিশুর অধিকার। সেই স্তন্যদুগ্ধ বোতলে ভরে পাওয়া যাচ্ছিল দোকানে। ৫০০ টাকায় বোতলবন্দি স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি হচ্ছিল খোলাখুলি।
মাতৃদুগ্ধ পান সদ্যোজাতের অধিকার। সদ্যোজাতের সারাজীবনের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে যা অমৃত সমান। সেই মাতৃদুগ্ধ কিনা বোতলে ভরে বিক্রি হচ্ছিল! ৫০ মিলিলিটার স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি হচ্ছিল বোতলবন্দি করে। বোতল আবার দস্তুরমত সিল করা।
৫০ মিলিলিটার স্তন্যদুগ্ধের দাম পড়ছিল ৫০০ টাকা। খোলাখুলিই এভাবে মাতৃদুগ্ধ বিক্রি করছিল একটি দোকান। বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে ফাসাই-এর দলের। তারা তামিলনাড়ুর খাদ্য সুরক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানায়।
খবর পাওয়ার পর চেন্নাইয়ের মাধভরম এলাকার ওই দোকানে হানা দেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। দেখেন সেখানে খোলাখুলিই সিল বোতলে বিক্রি হচ্ছে স্তন্যদুগ্ধ। বোতলের ওপর লেখাও রয়েছে ব্রেস্ট মিল্ক। তৎক্ষণাৎ দোকানটি বন্ধ করে দেন তাঁরা।
শুধু ওই দোকানটি বন্ধ করাই নয়, রাজ্য জুড়েই এভাবে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রির কারবার চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর সাধারণ মানুষের কাছেও অনুরোধ করা হয়েছে তাঁরা কোথাও এভাবে মাতৃদুগ্ধ বিক্রি হতে দেখলে যেন দ্রুত খবর দেন।
যে দোকানটিকে বেআইনিভাবে স্তন্যদুগ্ধ বিক্রি করার জন্য সিল করে দেওয়া হয়েছে তাদের ফাসাই প্রোটিন পাউডার বিক্রির লাইসেন্স দিয়েছিল। কিন্তু তারা বোতলবন্দি মাতৃদুগ্ধ বিক্রি শুরু করে দেয়।
কীভাবে এই দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে, কারা করছে, তার বিস্তারিত তথ্য খুঁজে দেখছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা