চুরি করতে এসে গরমে এসি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল চোর, তারপরটা ইতিহাস
বাড়ি যে ফাঁকা তা সে বিলক্ষণ জানত। তাই ভোররাতে সেখানে ঢুকেছিল চুরি করতে। কিন্তু ঘরে এসি দেখে আর লোভ সামলাতে পারেনি।
বাড়ি ফাঁকা সে জানত। ভোররাতে যখন গোটা পাড়া ঘুমে কাতর, সেই সময় সে বাড়ির সামনের দরজা ভেঙেই ঢুকে পড়ে বাড়িতে। কেউ জানতেও পারেনা তার কীর্তি। কেউ কিছু জানতে পারল না। চোরও দিব্যি চুরি করতে ঢুকে সব ফাঁকা করে চলে যেতেই পারত। কিন্তু ঘরের দেওয়ালে লাগানো এসি-র লোভটা সে ছাড়তে পারেনি।
বাইরে অসহ্য গরম। ফাঁকা বাড়িতে তাই এসি চালিয়ে সটান মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। হয়তো ভেবেছিল একটু ঘুমিয়ে নিয়ে তারপর চুরি যা করার করে চম্পট দেবে। কিন্তু এসি চালিয়ে গভীর ঘুম ঘুমিয়ে পড়ে সে।
এদিকে সকাল হলে প্রতিবেশিরা দেখেন বাড়িটির সদর দরজা খোলা। তাঁরা ভালই জানতেন ওই বাড়ির বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক সুনীল পাণ্ডে কর্মসূত্রে বারাণসীতেই অধিকাংশ সময় থাকেন। লখনউ শহরে তাঁর এই বাড়িতে তিনি মাঝেমধ্যে আসেন।
প্রতিবেশি তাঁকে ফোন করে দরজা খোলা থাকার কথা জানান। চিকিৎসকের পক্ষে বারাণসী থেকে লখনউ পৌঁছনো তো সম্ভব নয়। তাই তিনি স্থানীয় থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান।
থানা থেকে পুলিশ দ্রুত তাঁর বাড়িতে হাজির হয়। চোর বাবাজি তখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। পুলিশই তাকে ডেকে তোলে। তারপর তাকে পাকড়াও করে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানতে পারে চুরি করতে আসার সময় মদ্যপানও করেছিল সে। গরমের মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় চুরি করতে এসে এসি-তে ঘুম দেওয়ার লোভ সামলাতে পারেনি সে। ফলে চুরি দূরে থাক এখন বন্দি সে।