National

শিকারা মানেই আর ডাল লেক নয়, একচেটিয়া আধিপত্য শেষ

শ্রীনগরের বিখ্যাত ডাল লেক চিরকালই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। আর ডাল লেক মানেই শিকারায় জলবিহার। শিকারা মানেই ছিল ডাল লেক। যা আর রইল না।

কাশ্মীর বললেই প্রথম যে নামটা মানুষের মনে আসত তা হল ডাল লেক। ডাল লেকে হাউস বোটে রাত্রিবাস আর লেকের জলে শিকারায় করে ভ্রমণ, এটাই ছিল প্রাথমিকভাবে কাশ্মীর ভ্রমণের চালচিত্র। যদিও কাশ্মীরে অনেক কিছু উপভোগ করার রয়েছে, তবে শ্রীনগরের বিখ্যাত ডাল লেক যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে একটা অন্যই উচ্চতা ছুঁয়েছিল পর্যটকদের মনে।

সিনেমার পর্দাতেও বার বার উঠে এসেছে ডাল লেকের ওপর শিকারায় ভ্রমণ। শিকারা মানেই তাই ছিল ডাল লেক। ডাল লেকের সেই রঙিন সাজের বিলাসবহুল নৌকা শিকারা আর কেবল ডাল লেকের রইল না।


ভোপালের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হল সেখানকার অতিকায় দিঘি ‘বড়া তালাও’। যাকে আপার লেকও বলা হয়। সেখানে যাবতীয় রকমের মোটর বোট বা ক্রুজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তাহলে পর্যটকদের জলে বেড়ানোর ইচ্ছা পূরণ হবে কীভাবে?

Bhopal
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ভোজতাল লেক, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

বড়া তালাওতে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণই হল সেখানে জলবিহার। পর্যটনের কথা মাথায় রেখে তাই ভোপাল পুরসভা বড়া তালাও-তে শিকারা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে।


ডাল লেকের জল শান্ত ও স্থির। কিন্তু বড়া তালাওয়ের জলে কারেন্ট রয়েছে। তাই আপাতত একটি শিকারা জলে ভাসিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালাবে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুরসভা।

তারপর তা সফল হলে বড়া তালাওয়ের জলেও ছড়িয়ে পড়বে অনেক রঙিন শিকারা। যাতে করে অন্যই এক উপভোগ্য জলবিহারের আনন্দে মেতে উঠতে পারবেন পর্যটকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button