বয়ঃসন্ধি না পার করা ৭টি বালিকাকে বেছে নিয়ে প্রতি বছর তাদের মন্দির প্রাঙ্গণে বিশেষ প্রথা সম্পূর্ণ করতে হত। এ সময়ে তাদের কোমরের ওপর অংশে কোনও পোশাক থাকত না। কেবল কিছু গয়না পরানো থাকত। তার আগে ১৫ দিন ধরে চলত প্রশিক্ষণ। যে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকতেন মন্দিরের পুরুষ পুরোহিতরা। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন পরিবার থেকেই মেয়েরা এখানে আসত। নাচের সময় তাদের দেবীজ্ঞানে পুজো করা হত। মাদুরাইয়ের একটি মন্দিরে এই প্রথা দীর্ঘদিনের। বাবা-মায়েরও তাঁদের মেয়েদের এখানে পাঠাতেন। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে বালিকাদের উন্মুক্ত বক্ষে প্রথা পালন করতে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বালিকাদের তাদের উর্ধ্বাঙ্গ ঢাকতে দিতে হবে।
এ বিষয়ে গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। তাঁদের জানানো হয়েছে মেয়েদের পাঠাতেই পারেন, কিন্তু তাদের উর্ধ্বাঙ্গ ঢেকে তবেই। তার ওপর চাইলে গয়না পরতেই পারে। যদিও এই সনাতনি প্রথা এতদিন চলে এলেও কোনও বালিকাকে অনাবৃত উর্ধ্বাঙ্গে মন্দিরে প্রথাপালন করতে দেখেও কেউ কোনও শ্লীলতাহানি বা তাদের অসম্ভ্রম করার চেষ্টা করেনি। কারণ সে সময়ে ওই ৭ বালিকাকে দেবীজ্ঞানে দেখা হয়ে থাকে। অবশ্য এভাবে সর্বসমক্ষে অনাবৃত উর্ধ্বাঙ্গে প্রথা পালন প্রশাসন মানতে রাজি নয়। প্রশাসন তাদের উর্ধ্বাঙ্গ ঢাকতে দিতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে।