৯ দিনে ভাঙল ৫টি সেতু, বর্ষার শুরুতেই চড়ল বিরোধী সুর
মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে ৫টি সেতু ভেঙে পড়লে তা বিরোধী সুরকে মজবুত করবেই। এদিকে সাধারণ মানুষ বর্ষার শুরুতেই সেতু দেখলে চিন্তায় পড়ছেন।
কখন ভেঙে যাবে কে জানে! এটাই এখন একটি গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে কোনও সেতু পারাপারের সময় সবচেয়ে বড় আতঙ্ক। আর সেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মাত্র ৯ দিনে। কারণ ৯ দিনের মধ্যে ৫টি সেতু ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়।
অধিকাংশ নির্মীয়মাণ হলেও নির্মাণের জন্য কি মানের উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। লাগোয়া রাজ্য বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব রাজ্যবাসীকে ৯ দিনে ৫ সেতুর বেহাল দশা সম্বন্ধে অবহিত করেছেন। যা অবশ্যই শাসক দলের জন্য বড় অস্বস্তির কারণ হবে।
বিহারের মধুবনীতে একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একটি স্তম্ভ শুক্রবার ভেঙে পড়ে। দ্রুত ভাঙা সেতুর স্তম্ভ একটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভূতাহি নদীতে ভেঙে পড়ে স্তম্ভটি। যার ওপর সেতুটি তৈরি হচ্ছিল গত ৪ বছর ধরে।
গত বৃহস্পতিবারও কিষণগঞ্জে একটি সেতু ভেঙে পড়ে। তারও আগে গত ২৩ জুন পূর্ব চম্পারণে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। ২২ জুন ভেঙে পড়ে গণ্ডক ক্যানালের ওপর একটি সেতু।
গত ১৯ জুন আরারিয়াতেও একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়েছিল। এভাবে একের পর এক সেতু বর্ষার শুরুতেই জলের তলায় চলে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে বিহার জুড়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। বিষয়টি নিয়ে সুর চড়া করেছে বিরোধী দলগুলিও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা