পঞ্চায়েতের সকলে যা পারলেন না একা একটা মোষ তা করে দেখাল
পঞ্চায়েতের সকলের ঘাম ছুটে গেল। কিন্তু কিছুই করতে পারলেননা। অথচ একটি মোষ তা অনায়াসেই করে দেখাল। মোষের কামাল দেখলেন সকলে।
৩ দিন আগেই তাঁর মোষটি সেই যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তারপর থেকে তার আর খোঁজ ছিলনা। মোষের মালিকের তো রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার অবস্থা। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁর মোষের দেখা পাচ্ছেন না।
এদিকে মোষটি রাস্তা হারিয়ে কাছের আরেকটি গ্রামে পৌঁছে যায়। সেখানে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে পাকড়াও করে নিজের কাছে রেখে দেন।
এদিকে মোষের আসল মালিক তাকে খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে ৩ দিন পর জানতে পারেন তাঁর মোষ এখন হনুমান সরোজ নামে এক ব্যক্তির জিম্মায় রয়েছে।
রাই আস্কারানপুর গ্রামের বাসিন্দা মোষের মালিক নন্দলাল সরোজ হাজির হন হনুমান সরোজের কাছে। মোষ ফেরত চান। কিন্তু হনুমান সরোজ জানিয়ে দেন ওই মোষ তাঁর।
নন্দলাল হাজির হন পুলিশের কাছে। পুলিশ বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পুরে হরিকেশ গ্রাম অর্থাৎ হনুমান সরোজের গ্রামের পঞ্চায়েতের হাতে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পঞ্চায়েতের সকলের সামনে নন্দলাল ও হনুমান ২ জন মিলেই জোর গলায় মোষের দাবি জানাতে থাকেন।
পঞ্চায়েতও শেষপর্যন্ত হার মানে। অধরা থেকে যায় মোষের জিম্মা। এর পরই পুলিশ দায়িত্ব নেয়। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের মহেশগঞ্জ থানার এসএইচও এগিয়ে আসেন বিষয়টি সমাধান করতে। তিনি একটি উপায় বাতলান।
তিনি বলেন নন্দলাল এবং হনুমান, ২ জন রাস্তার বিপরীত মুখে দাঁড়াবেন। এরপর পুলিশ ওই মোষটিকে থানা থেকে ছেড়ে দেবে। এবার মোষ সিদ্ধান্ত নেবে সে কার দিকে যাবে।
মোষ তার মালিককে ঠিকই চিনে তাঁর দিকেই যাবে বলেও নিশ্চিত ছিলেন এসএইচও শ্রবণ কুমার সিং। তিনি যা ভেবেছিলেন ঠিক তাই হয়।
মোষ রাস্তায় উঠে ২ দিকে তাকিয়ে তার মালিক নন্দলালকে চিনতে পারে। তারপর নন্দলালের দিকেই হাঁটা লাগায় সে। নন্দলাল মোষকে ফেরত পেয়ে আনন্দে নিজের গ্রামের দিকে পা বাড়ান। এদিকে হনুমান সরোজ পুলিশ এবং পঞ্চায়েত ২ তরফ থেকেই প্রবল ভর্ৎসনার শিকার হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা