নদীতে স্নান করলেই মিলবে বিনামূল্যে সুস্বাদু খাবার
বিনামূল্যে ২ বেলা পেট ভরে খাবার পাবেন পুণ্যার্থীরা। খাবারের ধরনও পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। বছরের যে কোনও সময় এলেই এখানে মিলবে বিনামূল্যে নিরামিষ আহার।
২টি নদী চোখে দেখা যায়। তৃতীয়টি পৌরাণিক বিশ্বাস। তবে বলা হয় ৩ নদীর সঙ্গমস্থল। যা ভারতের অন্যতম পুণ্যক্ষেত্র। আগামী বছরের শুরুতেই এই প্রয়াগরাজে শুরু হবে কুম্ভমেলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামবে এখানে। তাছাড়াও এখানে মাঘ মেলায় বহু পুণ্যার্থীর ঢল নামে।
প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে অবশ্য অর্ধকুম্ভ, মহাকুম্ভ বা মাঘ মেলা ছাড়াও সারা বছর পুণ্যার্থীরা হাজির হন। পুণ্য প্রাপ্তির আশায় ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করেন।
এখানে যখন কুম্ভমেলা বা মাঘ মেলা হয় তখন নানা ধর্মীয় সংগঠন তাদের আখড়া তৈরি করে। সেখানে পুণ্যার্থীদের জন্য বিনামূল্যে খাবারের বন্দোবস্তও থাকে। ফলে সে সময় মেলা প্রাঙ্গণে পকেটের টাকা খরচ করে খাওয়ার দরকার পড়েনা। কিন্তু বছরের বাকি সময় এলে সে সুযোগ নেই।
সারাবছর পুণ্যার্থীরা তো আসেন এখানে। তাই তাঁরা যাতে বছরের যে কোনও সময়ই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নানে এলে খাবার নিয়ে সমস্যায় না পড়েন সে ব্যবস্থা পাকা করা হচ্ছে।
সারাবছরই আগামী দিনে পুণ্যার্থীরা এখানে এলে ২ বেলা বিনা খরচে খাবার পাবেন। পেঁয়াজ, রসুন ছাড়া নিরামিষ পদ পাবেন তাঁরা। পিওর সাত্ত্বিক ভেজিটেরিয়ান ফুড বলে এই বন্দোবস্ত চালু হচ্ছে এখানে।
প্রতিদিন ১০ হাজার মানুষের মধ্যে ২ বেলা বিনামূল্যে খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্য একটি কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা হচ্ছে। সেখানে রান্না করা, প্রাত্যহিক পুরো ব্যবস্থার দেখভাল, রান্না করা খাবার বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছনো, সব দায়িত্বই যে সংস্থা এই দায়িত্বভার কাঁধে নেবে তাদের ব্যবস্থা করতে হবে।
সারাবছর এই বিনামূল্যে খাবারের খরচ বহন করবে প্রয়াগরাজ মেলা অথরিটি। ফলে আগামী দিনে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে হাজির হলে খাবার নিয়ে চিন্তা থাকছে না। খাবারের খরচও হবেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা