বিজ্ঞানের অদ্ভুত কেরামতি, পাহাড়ের আপেল ফলছে সমতলে
পাহাড়ই ছিল তার ঠিকানা। পাহাড়ের অনেকটা উঁচুতে ঠান্ডা পরিবেশে দেদার সে গাছে গাছে ছড়িয়ে পড়ে। সেই মনোরম ঠিকানা বদলে নতুন ঠিকানায় উঠে এল সিমলা আপেল।
প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে। পুরনো ইংরাজি প্রবাদ মেনে কেবল সুস্থ দেহের জন্যই আপেল নয়, আপেল স্বাদেও মনহরা। ফলের জগতে অতি পরিচিত ফল হল আপেল। ভারতে ২টি জায়গা আপেলের জন্য বিখ্যাত। একটি কাশ্মীরের আপেল এবং অন্যটি হিমাচল প্রদেশের আপেল।
হিমাচল প্রদেশের আপেলের একটা পরিচিতি হল সিমলা আপেল। শৈল শহর সিমলা তার ঠান্ডা মনোরম পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। অতি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রও। আপেল চাষ হিমাচলের এক প্রাচীন কৃষিপণ্য।
এবার সেই হিমাচলের আপেল পাহাড় ছেড়ে নেমে এল সমতলের মাটিতে। এটা যে সম্ভব সেটাই অনেকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। কারণ আপেল বাগানের জন্য যে ধরনের মাটি ও আবহাওয়ার দরকার পড়ে তা সমতলে হয়না।
কিন্তু বেলিপারের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে বিজ্ঞানের হাত ধরে আপেল গাছ এবার নেমে এল সমতলে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের পিপরাইচের ইউনোলা গ্রামের কৃষক ধর্মেন্দ্র সিং ২০২২ সালে সিমলা আপেলের ৫০টি চারা এনে তাঁর বাগানে বপন করেন।
সেই আপেলের চারা এখন গাছে রূপান্তরিত হয়ে তাতে ফল ধরেছে। আন্না এবং হারমান ৯৯, এই ২ প্রকারের আপেলের চারা ধর্মেন্দ্র সিং নিয়ে আসেন। যা থেকে এবার ফল পেতে শুরু করেছেন তিনি।
সমতলেও যে আপেল ফলানো সম্ভব তা বিজ্ঞান প্রমাণ করে দিল। ধর্মেন্দ্র সিং এতটাই উৎসাহী হয়েছেন এই আপেল হওয়া দেখে যে তিনি এবার ১ একর জমিতে আপেল বাগান তৈরি করছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা