সকাল সাড়ে নটা। মুম্বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এলফিনস্টোন স্টেশনের ফুটব্রিজে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। সেন্ট্রাল ও ওয়েস্টার্ন লাইনকে এই জংশন জুড়েছে। ফলে অনেকেই এখান থেকে ট্রেন বদলে অন্য লাইন হয়ে গন্তব্যে পৌঁছন। কর্মব্যস্ত সকালে এই স্টেশনে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। এমনই এক স্টেশনে ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল লাইনের মধ্যে যাতায়াতের সংযোগকারী ফুটব্রিজ মাত্র ১টি। ফলে তা ভিড়ে থিকথিক করে। শুক্রবারও সেই পরিস্থিতি ছিল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এই সময়ে এক ব্যক্তি সিঁড়িতে হড়কে যান। তাঁকে অন্য কয়েকজন ধরতে গিয়ে তাঁরাও হড়কান। টাল সামলাতে না পেরে অন্যরাও হড়কে যেতে থাকেন। এরমধ্যেই গুজব রটে যায়। কেউ বলছেন শর্টসার্কিট। কেউ বলছেন ভেঙে পড়ছে ব্রিজ। আতঙ্ক সীমা ছাড়ায়। ওই বিশাল ভিড় যেভাবে হোক সমতলে নামার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকেই পায়ের তলায় পড়ে যান। অন্যরা তখন প্রাণ বাঁচাতে দিক্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে তাঁদের মাড়িয়েই যেতে থাকেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২২ জনের। পরে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। যাঁদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কাছের কেইএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর এদিনই মুম্বই পৌঁছন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা, অধিক আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি মহারাষ্ট্র সরকারের তরফেও মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।