National

আদিবাসী মহিলাদের সিঁদুর পরতে মানা করে অন্য সমস্যায় শিক্ষিকা

এক বিশাল সভা। যেখানে আদিবাসী মহিলারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এক শিক্ষিকা বক্তব্য রাখতে গিয়ে যা বললেন তাতে নিজেই পড়েছেন সমস্যায়।

তিনি একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা। ছাত্রীদের পড়ানোর পাশাপাশি তিনি আদিবাসী পরিবার সংস্থা নামে একটি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা। সেই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকেই একটি বিশাল সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মূলত হাজির ছিলেন আদিবাসী মহিলারা।

সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে উঠে ওই শিক্ষিকা আদিবাসী মহিলাদের সিঁদুর পরা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। বলেন মঙ্গলসূত্রও পরতে হবেনা। সে জায়গায় বরং তাঁরা যেন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন।


মানেকা দামোর নামে ওই শিক্ষিকার সেই বক্তব্য আগুনের মত ছড়িয়ে পড়ে। আদিবাসীদেরই একাংশ মহিলাদের সিঁদুর পরতে মানা করা এবং মঙ্গলসূত্র পরতে মানা করার বিষয়টি ভাল চোখে নেননি। তাঁরা প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে রাজস্থানের স্কুল শিক্ষা দফতরেও অভিযোগ দায়ের হয়।

ওই শিক্ষিকার বক্তব্য রাজস্থানের শিক্ষা বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ করে ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করে শিক্ষা দফতর। রাজস্থানের সাডা নামে জায়গায় একটি সরকারি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে শিক্ষকতা করা ওই শিক্ষিকা আপাতত সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছে।


তাঁর সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র নিয়ে বক্তব্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের আদিবাসী সমাজে রীতিমত আলোড়ন ফেলেছে। ওই শিক্ষিকা আলাদা ভিল রাজ্য গঠনের জন্যও সুর চড়িয়েছেন।

তাঁর সংগঠনের তরফ থেকে এই ভিল রাজ্য নিয়ে উদ্যোগও হয়েছে। এখন অবশ্য তিনি রাজস্থান সহ নানা প্রান্তে তাঁর বক্তব্যের জন্য প্রবল সমালোচনার শিকার হয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button