বরফের রাজ্যে আগুন হাওয়ার দাপট, এমনটা কখনও কেউ দেখেননি
যাঁরা বয়স্ক মানুষজন রয়েছেন, তাঁরাও মনে করতে পারেননি এমনটা কখনও হয়েছে কিনা। মনে করার কথাও নয়। কারণ খতিয়ান বলছে এমন কখনও দেখেনি দেশের স্বর্গতুল্য ভূভাগ।
এমনটা কখনও হয়ইনি তো কীভাবে তা মনে পড়া সম্ভব! তাই জীবিত কেউই এমন পরিস্থিতির কথা মনে করতে পারছেন না। তাঁদের কাছে এমন আগুনে হাওয়া একেবারেই অচেনা। যা তাঁদের স্বাভাবিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। তাও আবার চলছে ১ সপ্তাহ ধরে।
দেশের অন্যান্য অংশ এবার গ্রীষ্মে যে ধরনের অচেনা তাপপ্রবাহ দেখেছে তা অসহনীয় ছিল। কিন্তু তেমন পরিস্থিতি যে কাশ্মীর উপত্যকার শীতল ভূভাগকেও রেহাই দেবেনা তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
জম্মু কাশ্মীরের পাহাড় উপত্যকা যখন শীতে পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়ে তখন জম্মু হয়ে যায় সে রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী। কারণ তখন জম্মুতে তুলনায় অনেক বেশি গরম থাকে।
এবার সেই জম্মুকেও গরমে হারিয়ে দিয়েছে শ্রীনগর। শ্রীনগরে পারদ চড়েছে ৩৬.২ ডিগ্রি। যা সর্বকালের রেকর্ড। সেখানে জম্মুতে পারদ রয়েছে ৩৫.১ ডিগ্রিতে।
অন্যদিকে কাজিগুন্দ ও কোকেরনাগে এবার যথাক্রমে ৩৫.৬ এবং ৩৪.১ ডিগ্রিতে পারদ চড়েছে। যে উত্তাপের ছোঁয়া এই ২ স্থানে কখনও লাগেনি।
কাশ্মীরের ঠান্ডা উপত্যকা যে এমন অসহ্য গরমে পুড়তে পারে তা একেবারেই অচেনা। ফলে কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত ছুটি।
তাপপ্রবাহ চলছে। ফলে কাশ্মীরের পাহাড়ি উপত্যকাতেও মানুষ ডিহাইড্রেশনের শিকার হচ্ছেন। আবহাওয়া দফতর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও কাশ্মীরে বৃষ্টি কিন্তু কোথাও একটা বিন্দুও মাটিও ছোঁয়নি।
এই অচেনা অসহ্য তাপপ্রবাহের জেরে কাশ্মীরের মানুষ যেমন একদিকে ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছেন, তেমনই কাশ্মীরের কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মাটি শুকিয়ে যাওয়া, বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা