জানালা দিয়ে লুকিয়ে মহিলা চিকিৎসকের স্নানের ছবি তুলল ঠিকাকর্মী
হাসপাতালের স্নানঘরে স্নান করছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। একসময় তাঁর একটা অস্বস্তি হয়। তারপরই বুঝতে পারেন কেউ তাঁর ছবি তুলছে।
হাসপাতালেই স্নান সারছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। হাসপাতালের যে স্নানঘর রয়েছে সেখানে স্নান করছিলেন তিনি। স্নান করতে করতে তাঁর একটা অস্বস্তি হয়। কেমন যেন মনে হয় কেউ তাঁকে দেখছে। তারপরই সজাগ হয়ে যান তিনি।
বোঝার চেষ্টা করেন তাঁকে এভাবে স্নান করা অবস্থায় কেউ সত্যিই দেখছে কিনা। চারধারে নজর ঘোরান তিনি। আর ঠিক তখনই তাঁর নজরে পড়ে একটি জানালার ধার থেকে কেউ মোবাইলে তাঁর স্নানের ছবি তুলছে।
দ্রুত তিনি সকলকে সজাগ করেন। তাতে হাসপাতালের অন্য কর্মীরা দ্রুত সেখানে হাজির হন। হাতেনাতে পাকড়াও করেন এক ব্যক্তিকে। তাঁর মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
জয়েশ সোলাঙ্কি নামে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ঠিকাকর্মী হিসাবে কাজ করত। তাকে পাকড়াও করা হয়। তার মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে ওই মহিলা চিকিৎসকের স্নানের ছবি রেকর্ড করা হয়েছে।
পুলিশ সেই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের কান্দিভালির একটি হাসপাতালে।
হাসপাতালে অনেক সময়ই মহিলা চিকিৎসকরা স্নান করে নেন। সেখানেও তাঁরা সুরক্ষিত নন। তাঁদের এমন জঘন্য পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে।
বিষয়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই চিকিৎসক বুঝতে পেরেছিলেন বলে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সম্ভব হল। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে কেন? কেন যথেষ্ট সুরক্ষা থাকবে না মহিলাদের ক্ষেত্রে? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।