২ শিক্ষকের ২ কাণ্ড, একজন বেছে নিলেন শিক্ষিকাকে, অন্যজন ছাত্রীর মাকে
১ শিক্ষকের কাণ্ডে ছিছিক্কার পড়ে গেছে। এক শিক্ষিকাকে অন্যভাবে কুপ্রস্তাব দিলেন এক শিক্ষক। অন্য শিক্ষকের শিকার হলেন ছাত্রীর মা।
শিক্ষকদের সমাজে উচ্চমর্যাদা দেওয়া হয়। তাঁদের সম্মান করেন সকলে। শিক্ষাদান যাঁর জীবনের লক্ষ্য সেই শিক্ষকের এমন হীনতম কাণ্ডে রীতিমত ছিছিক্কার পড়ে গেছে। প্রথম ঘটনা এক অতিথি শিক্ষিকাকে কেন্দ্র করে। ওই শিক্ষিকা আদর্শ গভর্নমেন্ট স্কুল নামে একটি স্কুলে পড়াতে এসেছিলেন।
পুলিশ জানাচ্ছে, সেই স্কুলের এক শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে প্রথমে মোবাইলে খারাপ ছবি পাঠাতে থাকেন। তারপর তাঁকে কুপ্রস্তাবও দেন। মোবাইলে খারাপ ছবি পাঠানোর বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়ার পর ওই শিক্ষকের কথা বাড়িতে জানান ওই শিক্ষিকা।
বাড়ির লোকজন এটা শোনার পর স্কুলে হাজির হন। ওই শিক্ষককে ধরে উত্তম মধ্যম প্রহার করেন। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেন। তারপর ওই শিক্ষিকার পা ধরে ক্ষমা চাওয়ান।
মেহবুব আলি নামে ওই শিক্ষক ওই শিক্ষিকা ও তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের রায়চূড় জেলায়। অন্য একটি ঘটনায় এই রায়চূড়েই আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তাঁর স্কুলের ছাত্রীর মাকে কুপ্রস্তাব দেন। ছাত্রীকে নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই মহিলার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি করেন।
সেই ছবি আবার লুকিয়ে তুলে নেন। পরে ওই শিক্ষক সেই ছাত্রীর মাকে জানান তাঁর ইচ্ছায় সমর্থন করতে। না হলে ওই দৈহিক সম্পর্কের ছবি তিনি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন। পরে তা তিনি করেনও। এরপরই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারাতাগি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা