ছাত্রীদের হস্টেলের বাথরুমে লুকোনো ক্যামেরা, কঠোর শাস্তি চান ছাত্রীরা
ছাত্রীদের হস্টেলে লুকোনো ক্যামেরাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ পারদ চড়ছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে সোচ্চার ছাত্রীরা। ২ পক্ষের ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতি।
এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রীদের হস্টেলের যে শৌচাগার, সেখানেই লুকিয়ে রাখা ছিল একটি ক্যামেরা। যে ক্যামেরায় ছাত্রীরা যখন শৌচাগার ব্যবহার করেছেন, তখন ছবি রেকর্ড হয়েছে। অভিযোগ সেসব ছবি বিক্রি করা হয়েছে। ছড়ানো হয়েছে। এর পিছনে হাত রয়েছে এক বা একাধিক ছাত্রের।
এমনকি এমন অভিযোগও সামনে এসেছে যে এক ছাত্রীও নাকি ক্যামেরা লাগাতে সাহায্য করেছিল। ইতিমধ্যেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২ দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
২ দলের ছাত্ররাই অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হস্টেলের বাথরুমে ক্যামেরা লাগানোর অভিযোগ তুলেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। তার মোবাইল ও ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফাইনাল ইয়ারের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই এই কাণ্ডের পিছনে রয়েছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ তাঁরা ১ সপ্তাহ আগেই বিষয়টি জানতে পেরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এমন জঘন্য অপরাধের জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে সোচ্চার হয়েছেন ছাত্রীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণনগর জেলার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ঘটনার কথা জানার পর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নেমেছে ছাত্ররাও।
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে দাবি করেছে তারা ওই বাথরুমে কোনও গোপন ক্যামেরার হদিশ পায়নি। তবে অভিযোগের তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা