টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসালেন বিধায়ক
নির্বাচনে তাঁকে দল এবার টিকিট দেয়নি। তা জানতে পেরে কেঁদেকেটে একাকার করলেন এক বিধায়ক। অন্য এক বিধায়ক আবার টিকিট না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই প্রকাশ্যে অগ্রাহ্য করলেন।
তিনি এবারও বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাচ্ছেন। এ বিষয়ে একরকম নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়পরিজন, এলাকার মানুষ, দলীয় কর্মী সকলকেই বলে রেখেছিলেন তিনি এবারও ভোটে দাঁড়াচ্ছেন।
কিন্তু বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে তিনি দেখেন তাঁর নাম সেই তালিকায় নেই। এরপর একটি সাক্ষাৎকার দিতে বসে তিনি ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেন। যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি থামানোর চেষ্টা করলেও ফল হয়নি। তাঁকে থামানো যায়নি।
তিনি কাঁদতেই থাকেন। বলতে থাকেন, এবার তাঁর কি হবে? তিনি কি করবেন? তিনি অসহায় বোধ করছেন বলেও জানান বিদায়ী বিধায়ক। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায়।
হরিয়ানায় ৫ অক্টোবর বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ ৮ অক্টোবর। সেই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবার অনেক জায়গাতেই প্রার্থী বদল করেছে। গতবার বিধায়ক হলেও এবার টিকিট পাননি শশী রঞ্জন পারমার।
তারপরই তিনি সাক্ষাৎকার দিতে বসে কেঁদে ভাসান। তাঁকে অনেক করে শান্ত করার চেষ্টা করেন সাক্ষাৎকার যিনি নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই তাঁর কান্না থামানো যায়নি।
ভোটে টিকিট না পেয়ে অনেক বিজেপি বিধায়কই ক্ষুব্ধ হরিয়ানায়। তেমনই এক বিধায়ক তো খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যকে অবজ্ঞা করে এগিয়ে গেলেন।
স্থানীয় ওবিসি নেতা তথা বিজেপির বিদায়ী বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী করণ দেব কম্বোজকে এবার বিজেপি টিকিট দেয়নি। তিনি যে ক্ষুব্ধ তা জানতে পেরে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনি গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলে তাঁকে শান্ত করতে।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দিকে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেও তিনি করমর্দন করতে অস্বীকার করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অবজ্ঞা করেই এগিয়ে যান তিনি। যা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।