দেশের সেরা পর্যটন গ্রামে নেই একটাও পাকা বাড়ি, পোড়ে না কেরোসিন
এ গ্রামের সেরা আকর্ষণ এখানকার মন্দির। সেই গ্রামই হল দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম। এ গ্রামে নেই পাকা বাড়ি। পোড়ে না কেরোসিন বা নিম ডাল।
এ গ্রামে ঢুকলে একটাও পাকা বাড়ি চোখে পড়বে না। কাঁচা বাড়ি হলে কি হবে, তা সুন্দর করে সাজানো। যা সেখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরছে। পরম্পরাকে ধরে রেখেছে।
এ গ্রামে কেরোসিন তেলের ব্যবহার হয়না। নিম ডাল পোড়ানো এ গ্রামের রীতি নয়। কেউ সে কাজ করেননা। গ্রামের মানুষ মাছ, মাংস খান না। মদ্যপান করেননা।
আরাবল্লী পর্বতমালার মাঝখানে এক পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই সুন্দর গ্রামটি। এ গ্রামের প্রধান আকর্ষণ এখানকার একটি মন্দির। প্রাচীন এ মন্দির গ্রাম ঘেঁষা পাহাড়ের ওপর অবস্থিত। যেখানে অধিষ্ঠানরত ভগবান দেবনারায়ণ।
মন্দিরটি তাই দেবনারায়ণ মন্দির নামে খ্যাত। এই মন্দিরের টানে সারাবছরই এখানে পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে। ৩ হাজার বিঘা জমির ওপর সুন্দর করে রক্ষিত রাজস্থানের এই গ্রাম পরিচ্ছন্নতাতেও নজরকাড়া।
এসব বৈশিষ্ট্যই তাদের ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের স্বীকৃতি এনে দিল। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রক একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যেখানে দেশের বিভিন্ন গ্রাম অংশ নিতে পারবে।
গ্রামগুলির সাংস্কৃতিক দিক থেকে ঐতিহ্যপূর্ণ হওয়া জরুরি ছিল। সেই প্রতিযোগিতায় সেরা হল রাজস্থানের বেওয়ার জেলার দেবমালী গ্রাম। দেবনারায়ণ মন্দিরের জন্যই এই গ্রামের নাম দেবমালী।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে এই গ্রামটিকে সেরা হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য তাঁর এক্স হ্যান্ডলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারী।
প্রসঙ্গত গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত নিজেও রাজস্থানের বাসিন্দা। তিনি যোধপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন।