মহাষ্টমীর দিন এলাকার সব পুরুষ শাড়ি পরে নাচেন, পিছনে রয়েছে এক অভিশাপ
শুরুটা হয়েছিল সেই মোগল যুগে। তারপর থেকে এটাই পরম্পরা হয়ে গিয়েছে। মহাষ্টমীর দিন সন্ধে নামলে এলাকার সব পুরুষ শাড়ি পরে নাচেন।
একটা অভিশাপের হাত ধরেই এ পরম্পরার শুরু। এজন্য পিছিয়ে যেতে হবে মোগল যুগে। সে সময় মোগল এক সুশিক্ষিত ব্যক্তির সাদুবেন নামে আমেদাবাদের বাসিন্দা এক মহিলাকে ভাল লেগে যায়। তবে তিনি তাঁকে বিয়ে নয়, রক্ষিতা করে রাখতে চান।
এটা শোনার পর রেগে যান সাদুবেন। তিনি এলাকার পুরুষদের কাছে অনুরোধ করেন তাঁরা যেন তাঁকে ওই মোগলের হাত থেকে রক্ষা করেন। সেদিন কিন্তু কেউ এগিয়ে আসার সাহস দেখাননি। সাদুবেন সেদিন কারও সাহায্য পাননি।
এলাকার কোনও পুরুষের তাঁকে রক্ষা করতে না এগিয়ে আসাটা মেনে নিতে না পেরে সাদুবেন অভিশাপ দেন। অভিশাপ দেন যে ওই পুরুষদের পরবর্তী প্রজন্মের পর প্রজন্ম কাপুরুষ হয়ে জন্ম নেবে।
সেই অভিশাপের পর এলাকার মানুষজন বুঝতে পারেন তাঁরা ভুল করেছেন। সেই অভিশাপের বোঝা তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মকেও বয়ে বেড়াতে হবে। তাঁরা তাই পরবর্তীকালে সেই অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য প্রতি মহাষ্টমীর রাতে, অর্থাৎ নবরাত্রির অষ্টম রাতে শাড়ি পরে মহিলার সাজে সেজে বার হন।
আমেদাবাদের সাদু মাতানি পোল নামে বহু পুরনো কলোনির সব পুরুষ ওইদিন রাতে শুধু শাড়ি পরে মহিলার সাজে সাজেনই না, সেই সঙ্গে সকলে মহিলাদের মত গরবা নাচেন।
সাদুবেনের অভিশাপের কথা মাথায় রেখে প্রতিবছর এই কলোনির প্রতিটি পুরুষ শাড়িতে সেজে গরবা নাচেন অষ্টমীর রাতে। এই নাচ দেখতে বহু মানুষের ভিড় জমে এখানে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা