চিকিৎসকদের অনশন পৌঁছে গেল যোধপুরে
ধর্মতলায় চিকিৎসকদের আমরণ অনশন এবার পৌঁছ গেল যোধপুরেও। এটাই কি তবে শুরু? আগামী দিনে কী তা আরও বৃহৎ আকার নিতে চলেছে? সেটাই এখন দেখার।
১০ দফা দাবিতে চিকিৎসকদের আমরণ অনশন গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব যে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের সীমানা পার করে অন্যত্র ছড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তা বোঝা গেল যোধপুরে।
পশ্চিমের শহর যোধপুরের চিকিৎসকেরা এবার বাংলার এই অনশন কর্মসূচির সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে শামিল হলেন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই অনশন কিন্তু আগামী দিনে দেশের অন্য প্রান্তেও এমন আন্দোলন শুরুর সম্ভাবনার জানান দিল।
যোধপুরের অনশনরত চিকিৎসকের জানিয়েছেন, তাঁরা সুরক্ষিত নন। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে চিকিৎসকেরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। অথচ তাঁদের সুরক্ষার যথার্থ কোনও বন্দোবস্ত নেই। এ বিষয়ে কড়া আইন না আনা হলে এই আন্দোলন যে আরও বৃহত্তর আকার নেবে তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ইতিমধ্যেই চিকিৎসকদের এই ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের জেরে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত না হয় সেদিকে নজর রাখছে যোধপুর প্রশাসন। সেখানকার প্রধান ৩টি হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।
যোধপুরের অনশন মঞ্চে থাকা চিকিৎসক প্রদীপ জৈন সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, একজন চিকিৎসক তৈরি হতে অনেক বছর লেগে যায়। তাঁরা চিকিৎসক হওয়ার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ডিউটিও দেন।
তারপরও তাঁদের ওপর নির্মম অত্যাচার নেমে আসতে পারে তার উদাহরণ কলকাতার আরজি কর। তিনি জানান, আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তাঁরাও আছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা