প্রকৃত ভারতীয় কারা, স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন এক রং মিস্ত্রি
প্রকৃত ভারতীয় হয়ে ওঠার জন্য পুঁথিগত শিক্ষা জরুরি, নাকি তার চেয়েও বেশি কিছু। এমন প্রশ্নের উত্তর দিল এক রং মিস্ত্রির স্তব্ধতা।
একটি স্কুলের দেওয়াল রং করার কাজ চলছিল। এক যুবক রংয়ের কাজ করছিলেন। বেশ ঝুঁকি নিয়েই কার্নিশে দাঁড়িয়ে রং করছিলেন তিনি। পায়ের কাছে রাখা একটি বালতি। মাথায় একটি কাপড় বাঁধা।
এমন কাউকে দেখলে সকলেই ধারনা করে নেন স্কুলে পড়া পুঁথিগত শিক্ষার অভাব রয়েছে এই যুবকের। তাই তিনি রং মিস্ত্রি। কিন্তু তিনিই যে স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রীদের চেয়ে অনেক বেশি ভারতীয় তা প্রমাণ করে দিলেন নিঃশব্দে।
একটি ছবি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রংয়ের কাজ করাকালীন স্কুলে আচমকাই বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠতেই ওই যুবক কাজ থামিয়ে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
তিনি যে অবস্থায় ছিলেন সেই অবস্থায় সামান্যও না নড়ে থেমে যান তিনি। অন্যদিকে সেই জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনই অন্য অনেক পড়ুয়াকে দেখা যায় নিজেদের মধ্যে গল্পে মত্ত।
নিজের স্কুলে বাজতে থাকা জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান জানানোর সামান্য শিক্ষাটুকুও তাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়নি। যা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন স্কুলে রংয়ের কাজ করা এক যুবক। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কে প্রকৃত ভারতীয়, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত, তা নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ছবি অনেক প্রশ্ন তুলে দিল। স্কুলে পড়া পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীরা কি আদৌ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে? যা দেখা গেছে তাতে অনেকেই ক্ষুব্ধ, বিরক্ত।
দেশের জাতীয় সঙ্গীতের প্রাপ্য সম্মানটা যখন দেশের এক রংয়ের কাজ করে জীবন চালানো যুবকের কাছে পরিস্কার, তখন তা স্কুলে প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের একাংশের কাছে নয়।