National

স্ত্রী তো বেঁচে, কিছু না করেও ৪ বছর সাজা কাটলেন স্বামী

স্ত্রী দিব্যি বেঁচে আছেন। ঘর সংসার করছেন। ২ সন্তানের জননী। অথচ তাঁর প্রাণ কাড়ার অভিযোগে স্বামী ৪ বছর পচলেন গারদের পিছনে।

ঘটনার সূত্রপাত ৪ বছর আগে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পণের দাবিতে চরম লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছিলেন এক তরুণী। সেই সঙ্গে জুটছিল স্বামীর অত্যাচার। একসময় সহ্য করতে না পেরে তিনি বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন।

যে কোনও মেয়ের জন্য বাবা মা সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল। কিন্তু মায়ের প্রয়াণের পর মেয়েটি বাপের বাড়িতে নিজের বাবার কুনজরে পড়েন। ওই তরুণীর দাবি, বাবার কুনজর থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উপায়ান্তর না দেখে তিনি জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।


কিন্তু ট্রেনের লাইনে জীবন বিসর্জন দেওয়ার আগেই এক ব্যক্তি তাঁর প্রাণ রক্ষা করেন। ওই ব্যক্তি তাঁকে আশ্রয় দেন। পরে তাঁকে বিয়ে করতে চান। ওই মহিলা অরাজি হননি। তিনি ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করে বিহারের আরায় সংসার পাতেন।

এদিকে মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান তাঁর বাবা। এমনকি একটি দেহ সনাক্ত করেন তাঁর মেয়ে বলে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কারণেই মেয়ের এই পরিণতি বলে পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ ওই তরুণীর স্বামী ও শ্বশুরকে পাকড়াও করে।


বিচারে গারদের পিছনে জায়গা হয় ২ জনের। ৪ বছর গারদের পিছনে থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্ত হয়ে ওই তরুণীর স্বামী স্ত্রীর খোঁজ শুরু করেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী বেঁচে এবং নিশ্চিন্তে ঘর সংসার করছেন।

পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ ওই তরুণীর কাছে সব শোনার পর এখন তাদের তদন্ত নিয়েই অস্বস্তিতে পড়েছে। কারণ বিনা দোষেই গারদের পিছনে ৪ বছর কাটিয়ে দিলেন ২ নিরপরাধ মানুষ।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button