বাদুড়দের ভালবেসে বাজির আঁতুড়ঘরেই বাজি পোড়ানো থেকে দূরে থাকে এই গ্রাম
দিওয়ালীর আনন্দে মাতোয়ারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আতসবাজির রোশনাই উৎসবের মেজাজে অন্য মাত্রা এনে দেয়। কিন্তু আতসবাজির রাজত্বেই এক গ্রাম একদম উল্টো পথে হাঁটে।
দিওয়ালী আলোর উৎসব। এ উৎসবে ভারতের প্রতিটি ঘর আলোয় ভরে ওঠে। আর সেই আলো যেমন মাটির প্রদীপ, মোমবাতিতে ভরে ওঠে, তেমনই ভরে ওঠে বৈদ্যুতিন আলোয়। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
এই আলোর উৎসবে আরেক আলোর রোশনাই অন্য মাত্রা যোগ করে। আর তা হল আতসবাজির রোশনাই। এখন শব্দবাজি নিষিদ্ধ। রঙিন আলো তৈরি হয় এমন বাজিও বেঁধে দেওয়া কিছু রাসায়নিক ছাড়া তৈরি করা যাবেনা।
পরিবেশ দূষণ আটকাতে এ পদক্ষেপ অবশ্যই মানুষের উপকারে লেগেছে। তবে দিওয়ালী বা কালীপুজোর সময় আতসবাজি দেশজুড়ে এখনও বেশ ভালই পোড়ানো হয়।
আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় রয়েছে বাজি পোড়ানোর জন্য। ভারতে আবার বাজির আঁতুড়ঘর বলা হয় তামিলনাড়ুকে। তামিলনাড়ুর শিবকাশীকে বাজির আঁতুড়ঘর বলা হয়।
এ বছরই ৬ হাজার কোটি টাকার বাজি বিক্রি করেছে শিবকাশীর বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। কিন্তু যে রাজ্যে বাজির এই বিপুল উৎপাদন হয়, সেই তামিলনাড়ুর মাইলাদুথুরাই জেলার পেরামবুর গ্রাম উল্টো পথে হাঁটে।
দিওয়ালীর সময় সেখানে কোনও বছরই বাজি পোড়ানো হয়না। গ্রামের মানুষ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একথা মেনে চলছেন।
বাদুড়দের প্রতি ভালবাসা থেকেই এ গ্রাম নিজেদের আতসবাজির রোশনাই থেকে দূরে রাখে। কারণ এ গ্রামে একাধিক এমন বটগাছ রয়েছে যেখানে হাজার হাজার বাদুড়ের বাস। বাদুড়দের শান্তি নষ্ট করে আতসবাজি।
তাই এ গ্রাম আতসবাজি পোড়ায় না। এ গ্রামের মানুষ বাদুড়দের পবিত্র বলে মনে করেন। তাই তারা যাতে কোনওভাবে বিরক্ত না হয় সেদিকে নজর রাখেন গ্রামবাসী।
এমনকি বিয়ের সময়ও অন্য গ্রাম থেকে বরযাত্রী বা কনেযাত্রী এলে তাঁদের আগে থেকেই গ্রামের বটগাছের বাদুড় সংসারের কথা বলে দেওয়া হয়। বলা হয় এ গ্রাম আতসবাজি থেকে দূরে থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা