পিতলের যাদু ছোঁয়ায় এক অচেনা গ্রামে কোনও অভাব রইল না, কর্মব্যস্ত সকলেই
পিতলের স্পর্শ এক যাদুকাঠির ছোঁয়ার মত এক গ্রামের ভোল বদলে দিল। সে বড় পুরনো কাহিনি নয়। তবে এ গ্রামে এখন সকলেই খুব ব্যস্ত।
সময় হাতে তেমন নেই। গ্রামের নারী পুরুষ নির্বিশেষে ব্যস্ত। কাজ করছেন। অর্থ রোজগার করছেন। ফলে সাচ্ছল্য এ গ্রামে নিশ্চিন্তে বিরাজ করে। কর্মসংস্থান নিয়ে এ গ্রামের মানুষকে ভাবতে হয়না। কারণ এক পিতলের স্পর্শ। যা শতাব্দী প্রাচীন এমনটাও নয়।
তবে এখন এ গ্রাম শুধুই যে পরিচিত নাম তাই নয়, দেশের গর্বও। ভারতের এ গ্রাম এখন এক নতুন নামও পেয়েছে। তা হল ভারতের পিতল গ্রাম। আসল নাম পারেভ।
বিহারের পাটনা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম একসময় ছিল আর পাঁচটা গ্রামের মতই। কয়েক বছর আগে এ গ্রামে পিতলের স্পর্শ লাগে। পিতলের জিনিসপত্র তৈরি ক্রমে বাড়তে থাকে এ গ্রামে।
ঘরে ঘরে তা কুটিরশিল্পের মত ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে গোটা গ্রামটাই এই পিতলের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। সন্ধে নামলে এ গ্রামে অন্য ব্যস্ততা শুরু হয়।
গ্রামের পুরুষরা পিতল গলিয়ে সেই গলিত পিতল দিয়ে নানাধরনের জিনিসপত্র তৈরি করেন। অন্যদিকে মহিলারা পালিশ করে সেইসব জিনিসপত্রকে চকচকে করে তোলেন।
নারী পুরুষের পরিশ্রম এ গ্রামের সাচ্ছল্যকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে গেছে। পারেভ গ্রাম এখন আর শুধুই একটা গ্রাম নয়, একটি শিল্পক্ষেত্র। ভারতের পিতল গ্রাম নাম পেয়েছে এটি।
এ গ্রামে পিতলের কাজ বহুদিন ধরে চলে আসছে। কিন্তু তা ক্রমে এখন একটা শিল্পের রূপ পেয়েছে। ক্রেতা বেড়েছে। চাহিদা বেড়েছে। সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে উৎপাদন। এ গ্রামের মহিলারা আবার ২ দিক সামলে চলছেন। সংসার সামলে তাঁরা পিতলের কাজে হাত লাগাচ্ছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা