National

সোনালি হলুদ রং ধরতেই ঘরে ঘরে শুকনো বেগুন, টমেটো, লাউ মজুত শুরু

পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে কি? যাচ্ছে যে তা জানিয়ে দিল সোনালি হলুদ রং, শুকনো বেগুন, টমেটো, লাউ। কিছুটা অন্যরকম শোনালেও ঘরে ঘরে মজুত করা শুরু হয়ে গেল।

চারধার ক্রমে সোনালি হতে শুরু করেছে। সোনালির সঙ্গে মিশেছে হলুদের ছোঁয়া। ক্রমে এই ২ রংয়ে সেজে উঠছে প্রকৃতি। ঝলমলে রোদ এসে পড়ছে সোনালি আর হলুদে ঢাকতে থাকা প্রকৃতির বুকে।

এখনও বরফ গলা বন্ধ হয়নি। তবে তা যে এবার ক্রমে কঠিন বরফের চেহারা নেবে তা এই রং বদলেই নিশ্চিত স্থানীয়রা। তাঁরা জানেন প্রকৃতির এই রং বদলের ইঙ্গিত।


শীত আসছে। তার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই সোনালি হলুদে ভরে ওঠা প্রকৃতি এখানকার স্থানীয়দেরই যে বিমোহিত করে তা নয়, এই রূপ দেখতে ছুটে আসেন পর্যটকেরা।

স্বর্গীয় রূপে চোখ যায় ঝলসে। চোখ ফেরানো যায়না। শীত জাঁকিয়ে পড়লে কিন্তু এ রূপে পরিবর্তন আসে। তখন বরফে ঢাকবে এলাকা। সেই বরফের মধ্যেই কাটাতে হবে দিনের পর দিন। পেটে দিতে হবে খাবার।


কিন্তু কয়েক ফুট পুরু বরফে ঢাকা চারধারে খাবার মেলা বড় কঠিন কাজ। তাই প্রকৃতি সোনালি হলুদ রংয়ে সাজলে স্থানীয়রা খাবার সংগ্রহ শুরু করে দেন।

ধান কাটা হয়ে গেছে। এখন তাই যতটা পারা যাচ্ছে ফসল ঘরে মজুত করার কাজ চলছে। আর চলছে শুকনো আনাজ মজুত করার কাজ। যার মধ্যে থাকে শুকনো বেগুন, শুকনো লাউ, টমেটো, এমনকি আপেলও।

এই সময় কাশ্মীর উপত্যকায় প্রচুর আঙুর, তরমুজ, আপেল এবং আনাজের ভান্ডার রয়েছে। যা এককালীন অনেকটা করে ঘরে মজুত করেন স্থানীয়রা।

কাশ্মীরে এরপর ক্রমে জাঁকিয়ে শীত পড়বে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হবে চিল্লাই কলন-এর দিনগুলোয়। এখানে এই সময় কেশরও ঘরে তোলেন কৃষকরা।

এখানে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট শ্রেণির কেশর পাওয়া যায়। যার ৫০০ গ্রামের দাম পড়ে ২ লক্ষ টাকা। তবে তা সবার কেনার মত নয়। ধনীদের পক্ষেই এই অর্থ প্রদান সম্ভব হয়।

তাই সাধারণ মানুষ সেই মানের না হলেও কেশর ঘরে তোলেন। তার দাম অবশ্য অনেকটা কম পড়ে। আর এভাবেই উইলো বনে শীত নামে।

কাশ্মীর শীতে জবুথবু হয়ে পড়ে। তবে তার আগে এখন শীতের প্রস্তুতি আর প্রকৃতির অপরূপ শোভা তারিয়ে উপভোগ করার সময়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button