কোথা থেকে আসে, কোথায় যায়, পরিযায়ী পাখিদের গোপন কথা জানতে অভিনব বন্দোবস্ত
হাজার হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে আসে তারা। কোথা থেকে আসে, ফিরেই বা কোথায় যায়, পরিযায়ী পাখিদের গোপন কথা জানতে অভিনব উদ্যোগ।
হাজার হাজার মাইল উড়ে পরিযায়ী অনেক পাখি শীতের দিনে হাজির হয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। পশ্চিমবঙ্গেও তাদের একাধিক ঠিকানা রয়েছে। যার একটি কলকাতার পাশে সাঁতরাগাছি ঝিল। এভাবেই ভারতের উত্তরপূর্বের সবুজে ঘেরা পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর, মিজোরামেও তাদের দেখা মেলে।
এখানেও হাজির হয় বহু পরিযায়ী পাখি। কোথা থেকে তারা আসে? কোথায়ই বা যায়? মাঝে কোথায় কোথায় বিশ্রাম নেয়? কতদিন ধরে টানা ওড়ে? এমন নানা প্রশ্ন থাকে। যার কয়েকটির উত্তর জানা থাকলেও তা একদম সঠিকভাবে খুঁটিয়ে বিশেষজ্ঞদেরও অজানা।
এবার সেটা জানতে মণিপুরে উড়ে আসা আমুর নামে এক বিশেষ প্রজাতির বাজপাখিদের সাহায্য নিলেন ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া-র বিজ্ঞানী। তাঁরা দেখেছেন এই পাখিরা ২২ হাজার কিলোমিটার ওড়ে এই যাতায়াতে।
তারা ওড়া শুরু করে আদপে পূর্ব এশিয়া থেকে। চিনে তারা ডিম পাড়ে। তারপর সেখানে প্রায় ১ মাস কাটিয়ে ভারতে আসে। তারপর উড়ে যায় দক্ষিণ আমেরিকার দিকে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ফের তারা শীতের আগে পাড়ি দেয়।
এভাবেই চক্রাকারে ঘোরে তাদের জীবন। এই বিভিন্ন দেশ হয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছনো, তারপর ফের ওড়া, ফের চিন, ভারতে আসা। এই চক্রকে সময় ধরে ধরে জানতে, তারা কতটা করে উড়ছে তা জানতে এবার এমন ২টি আমুর বাজপাখির শরীরে জুড়ে দেওয়া হল স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার। যা তাদের প্রতিটি গতিবিধির খবর দিতে থাকবে।
মণিপুরের তামেংলং জেলার চিউলুয়ান ২ এবং গুয়ানগ্রাম হল এমন ২টি গ্রাম যেখানে এই আমুর বাজপাখিরা এসে বিশ্রাম নেয়। এখানেই ২টি বাজপাখির গায়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ওই বিশেষ যন্ত্র। কিছুদিন বিশ্রামের পর ফের তারা পাড়ি দেবে তাদের গন্তব্যে। তখনই তাদের গতিপথ জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা