মন্ত্রোচ্চারণে মাটির তলায় ১২ বছর পুরনো গাড়ি, গাড়ির শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রিত দেড় হাজার
পরিবারের ১২ বছরের পুরনো একটি গাড়ির ধুমধাম করে শ্রাদ্ধ করলেন এক ব্যবসায়ী। গাড়িটিকে মাটির তলায় রেখে চাপা দিয়ে দিলেন। উচ্চারিত হল মন্ত্র।
তিনি জীবনে যা সাফল্য পেয়েছেন, তাঁর যা শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, সবই ওই গাড়ির জন্য। এটাই বিশ্বাস এক ব্যবসায়ীর। তাঁর পরিবারও সেটাই বিশ্বাস করে। এদিকে গাড়িটির তো একটা আয়ু আছে। ১২ বছর ধরে চলার পর এবার তার জীবনকাল সমাপ্ত হয়েছে।
তাই তাঁদের পরিবারের সদস্যের বিচ্ছেদের মতই গাড়ির সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের বিচ্ছেদ হল। তাঁদের প্রাণাধিক প্রিয় গাড়িটিকে ওই পরিবার নিয়ে আসে তাদেরই খামারে। সেখানে একটি ১৫ ফুট গর্ত খোঁড়া হয়। তারপর একটি ঢাল বেয়ে ফুলে ফুলে সাজানো গাড়িটিকে সেখানে নামানো হয়।
উপস্থিত ছিলেন সাধু ও পুরোহিতরা। তাঁরা মন্ত্রোচ্চারণ শুরু করেন। তারমধ্যেই গাড়িটিকে একটি সবুজ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়। কাপড়ের ওপরে লেখা ছিল ॐ।
এবার একটি জেসিবি দিয়ে মাটি ফেলা হয় ওই কাপড় দিয়ে ঢাকা গাড়িটির ওপর। ক্রমে একসময় গাড়িটি মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। ওপরে মাটি সমান করে দেওয়া হয়।
শেষ শ্রদ্ধায় কোনও ফাঁক রাখতে চাননি গুজরাটের আমরেলি জেলার পাদারসিংগা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সঞ্জয় পোলারা ও তাঁর পরিবার। সঞ্জয় নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আর তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন সব সাফল্য এসেছে ওই গাড়ির জন্য।
গাড়ির রীতিমত শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন সঞ্জয়। গাড়িটিকে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে এই মাটিতে ঢেকে ফেলার সাক্ষী থাকেন দেড় হাজার মানুষ। কৌতূহলী আশপাশের মানুষ নন, বরং গাড়ির শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রিত দেড় হাজার মানুষ। যাঁদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ভাল করে খাওয়ানোর বন্দোবস্তও করেছিলেন সঞ্জয় পোলারা।