National

মরসুমে প্রথমবার বরফের চাদরে ঢাকল বাংলার সর্বোচ্চ বিন্দু, হাড় কাঁপছে উপত্যকারও

পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বিন্দু যে নভেম্বরেই বরফে মুখ ঢাকবে তা অনেকেই আশা করতে পারেননি। তবে তা হল। সাদা হয়ে গেল চারধার। হাড় কাঁপছে উপত্যকাতেও।

কলকাতার সর্বনিম্ন পারদ এখনও ২০ ডিগ্রির আশপাশেই ঘুরছে। যদিও পুরুলিয়া ১২ ডিগ্রিতে নেমেছে। পারদ নেমেছে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়েও এ সময় বরফ পড়েনা। দার্জিলিং বরফ পায় কখনও ডিসেম্বরে তো কখনও জানুয়ারিতে।

এবার কিন্তু এ রাজ্যের সর্বোচ্চ বিন্দু বলে পরিচিত সান্দাকফু নভেম্বরেই বরফের চাদরে মুখ ঢাকল। স্বভাবতই খুশিতে আত্মহারা পর্যটকেরা। নভেম্বরেই যে এখানে বরফ পাওয়া যাবে তা তাঁরাও আশা করেননি।


রাস্তা, বাড়ি, গাছপালা সবই বরফে ঢেকে গেছে। অনেকেই সান্দাকফুতে তুষারপাতের ছবি শেয়ার করেছেন। ১১ হাজার ৯৩০ ফুট উচ্চতায় সান্দাকফুকে বলা হয় বাংলার সর্বোচ্চ বিন্দু। যেখানে অনেকেই ট্রেক করে পৌঁছন।

দার্জিলিংয়ে পাহাড় উপভোগ করতে আসা মানুষজনের জন্য সান্দাকফু এক অন্যতম আকর্ষণ। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা যেমন সুন্দর দেখা যায়, তেমন এভারেস্টও নজরে পড়ে।


সান্দাকফুতে যখন নভেম্বরেই বরফের ছোঁয়া মিলেছে তেমন অন্যদিকে কাশ্মীরে তরতর করে নামছে পারদ। আর আবহবিদেরা জানাচ্ছেন এই পতন বজায় থাকবে। শ্রীনগরই এখন মাইনাসে পৌঁছেছে।

ফলে সেখানে রাস্তার ধারে বসে গরম পোশাক বিক্রেতাদের পোয়া বারো। চুটিয়ে বিক্রি চলছে। মানুষও ভিড় করে গরম পোশাক কিনতে ব্যস্ত। চলছে জোর দরদাম।

বড় সমস্যার কারণ হয়েছে জলের পাইপে জল বরফ হয়ে যাওয়া। শ্রীনগর যখন মাইনাসে তখন পহেলগাম, গুলমার্গও যে মাইনাসে পৌঁছে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে জোজিলা, তুলাইল, গুরেজ পাসে তুষারপাত হয়ে চলেছে। কাশ্মীরবাসী সবচেয়ে ভয়ংকর ঠান্ডা সহ্য করেন চিল্লাই কলন-এর সময়। ওই ৪০ দিন প্রতিবছর তাঁদের কাছে কার্যত এক বিভীষিকা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button