সাপের ছোবল নিয়ে একদম নতুন ঘোষণা কেন্দ্রের
সাপের ছোবল নিয়ে নতুন এক ঘোষণা করল কেন্দ্র। ফলে এতদিন ধরে সাপের ছোবল মারার ব্যাখ্যা বদলে গেল। ঘোষণা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরকারি স্তরে পৌঁছেও গেছে।
ভারতে সাপের ছোবল একটা অতিপরিচিত বিষয়। সারাবছরে কম করে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষ সাপের ছোবল খান। এরমধ্যে ছোবলের বিষে গড়ে ৫০ হাজার মানুষের জীবন যায়। সাধারণভাবে সাপের ছোবল খাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে কৃষক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের মধ্যে।
যে সাপগুলি এদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণ কাড়ে সেগুলি হল গোখরো, শঙ্খচূড়, করেতের মত সাপ। ভারতে আরও একটি সমস্যা হল সাপের ছোবলের অনেক ঘটনা জানতেও পারা যায়না।
তবে সর্পদংশন থেকে মানুষের নানাধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। কেবল যে সাপের ছোবলে প্রাণ যায় এমনটাই নয়, সাপের ছোবলের কবলে পড়ে অনেক মানুষ বিকলাঙ্গতার শিকার হন। অনেকে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
এসব কথা মাথায় রেখে এবার সাপের দংশন বা ছোবলকে একটি উল্লেখযোগ্য রোগ হিসাবে চিহ্নিত করল কেন্দ্র। তাই এমন ঘটনা প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে শুরু করে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল যেখানেই আসুক না কেন তা স্বাস্থ্য আইন মেনে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
সাপের ছোবলে প্রাণ যাক বা না যাক তা একটি বিশেষ রোগ হিসাবে এবার চিহ্নিত করতে হবে। সেইমত যাবতীয় কাগজি প্রক্রিয়া করতে হবে সাপের ছোবল খেয়ে চিকিৎসা করাতে আসা মানুষের ক্ষেত্রে।
এমনকি সাপের ছোবল বলে সন্দেহ হলেও তা সঠিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সর্বত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা