আইপিএস হওয়ার পর চাকরির প্রথম দিনেই অফিস যাওয়া হল না হর্ষ বর্ধনের
আইপিএস হওয়ার পর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষ করে কাজে যোগ দেওয়ার পালা। কিন্তু প্রথম দিনেই কাজে যোগ দেওয়া হল না আইপিএস হর্ষ বর্ধনের।
যে কোনও মানুষের জীবনেই চাকরির প্রথম দিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা সম্পূর্ণ নতুন জীবনের সূত্রপাত হয় সেদিন। একটা মানুষের জীবন যায় বদলে। দৈনন্দিন রুটিন যায় বদলে। কোথাও মনের কোণে লুকিয়ে থাকা জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতা মুছে গিয়ে মন ভরে ওঠে ভরপুর আত্মবিশ্বাসে।
হর্ষ বর্ধনের ক্ষেত্রেও সেটাই ছিল। পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরও তাঁর মন চাইত আইপিএস হতে। তাই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর আইপিএস-এর জন্য নিজেকে তৈরি করেন। পাশও করেন।
তারপর ৪ সপ্তাহের একটা প্রশিক্ষণ নিতে হয়। সেটা সম্পূর্ণ করে গত রবিবার ছিল তাঁর চাকরির প্রথম দিন। আইপিএস অফিসার হিসাবে কর্ণাটকের হাসানে অফিসে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মধ্যপ্রদেশের ছেলে হর্ষ বর্ধন। প্রবেশনারি অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।
অফিস থেকে পাঠানো গাড়িতেই প্রথম দিন ডিউটিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। হাসান জেলার এই হবু পুলিশ কর্তা ২০২৩ ব্যাচের আইপিএস হর্ষ বর্ধন হোলেনারাসিপুরা থেকে হাসানের দিকে যাচ্ছিলেন।
হাসান মাইসুরু হাইওয়েতে কিট্টানে সীমান্তের কাছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি জায়গায় ধাক্কা মারে। মাথায় গুরুতর আঘাত পান হর্ষ বর্ধন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই প্রাণ হারান ২৬ বছরের এই তরুণ পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলিশের গাড়ির চালক অবশ্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। তাঁর চোট সামান্যই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা