যানজটে ঠায় বসে থাকা যাত্রীদের মন ভাল করতে অভিনব উপায় নিলেন অটো চালক
অটোয় চড়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে চাইলেও অনেক সময় যানজটে আটকে ঠায় বসে থাকতে হয় অটোকে। এই সময় যাত্রীদের মন ভাল করতে অভিনব উপায় গ্রহণ করলেন অটো চালক।
যাত্রী পরিবহণে এখন ভারতে অটো এক বড় ভূমিকা পালন করে। অটোয় খোলামেলা যাত্রা ও কম খরচে গন্তব্যে পৌঁছতে পারায় সাধারণ মানুষের বড় ভরসা হয়ে উঠেছে অটো।
গন্তব্যে পৌঁছতে অটোয় চড়লেও তা অনেকসময় যানজটের কবলে পড়ে। কলকাতায় ছোট ছোট রুটে অটো চললেও অনেক শহরেই অটো চলে মিটারে বা আগাম বলে দেওয়া ভাড়ার ভিত্তিতে।
সেখানে অনেকসময় বড় শহরে যানজটে পড়তে হয় অটোযাত্রীদের। যে সময় গান শুনতেও বিরক্তি লাগতে পারে। তাই এবার এক অটোচালক অভিনব উপায় গ্রহণ করলেন।
যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের ক্লান্তি ও বিরক্তি কাটাতে তিনি অটোতেই একটি গ্রন্থাগার তৈরি করেছেন। এই লাইব্রেরি রয়েছে অটোর পিছনে বসা যাত্রীদের সামনে। যেখানে থাক করে থরে থরে বই সাজানো রয়েছে।
যেখান থেকে পছন্দের বই তুলে নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন যাত্রীরা। এতে সময়ও কাটবে। যানজটের বিরক্তিও কিছুটা দূর হবে। আবার গতির দুনিয়ায় এক ফাঁকে পছন্দের কিছু পড়ে ফেলাও যাবে।
যে বইগুলি তিনি সাজিয়ে রেখেছেন তা মানুষকে জীবনে চলার পথে সঠিক দিশা দেখানোর উপযোগী। বইগুলি একাধারে দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চেতনাকে জাগ্রত করে।
যেমন সেখানে সাজানো থাকে ‘গড লাভস ইউ’ অথবা ‘হোয়াই ডিভোর্স?’। এই চাকার ওপর ছোট্ট লাইব্রেরি থাকা অটোটি ছুটে বেড়ায় বেঙ্গালুরুর রাস্তায়।
যাত্রীদের দৈনন্দিন জীবনের পাঠও এই বই থেকেই দিচ্ছেন অটোচালক। ফলে তাঁর এই অভিনব ভাবনা বেঙ্গালুরুর গণ্ডি পার করে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশের মানুষের মুখে।