লাল কানের রূপসী, ওষধিগুণও রয়েছে, সন্দেহজনক বাক্স থেকে তারাই বেরিয়ে এল
বিমানবন্দরে এত মানুষের আনাগোনার মধ্যেও বাক্সটা নজর কেড়েছিল সুরক্ষা আধিকারিকদের। আর তাঁরা যে ভুল নন তা প্রমাণ হয়ে গেল ঢাকনা খুলতেই।
বিদেশি বিমান কম নামে না দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিমানবন্দরে। তেমনই মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে আসা একটি বিমান থেকে নেমে আসেন ২ জন। মালয়েশিয়ার নাগরিক নন, তাঁরা ভারতীয়। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। তাঁরা চেন্নাই বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা চেন্নাইতেই নামবেন এটাই স্বাভাবিক। মালয়েশিয়া থেকে ফিরছেন যখন সঙ্গে তো লাগেজ থাকবেই। কিন্তু এত মানুষের ভিড়ে তাঁদের ব্যাগ সন্দেহজনক ঠেকে সুরক্ষাকর্মীদের। তাঁরা ওই ২ যুবকের ব্যাগ আটকান। তারপর শুরু হয় খুঁটিয়ে পরীক্ষা।
আর পরীক্ষা করতে যা বেরিয়ে আসে তারপর এটা প্রমাণ হয়ে যায় সুরক্ষাকর্মী থেকে আধিকারিকরা ভুল ছিলেননা। কারণ তাঁদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে একটি কার্ডবোর্ডের বাক্স পাওয়া যায়। সেই বাক্স খুলতেই দেখা যায় সেখানে কিলবিল করছে লাল কানের রূপসী কচ্ছপেরা।
এই কচ্ছপ পোষার জন্য ব্যবহার হয়। এছাড়া কোনও সাজানো জলে ছবির মত সুন্দর এই কচ্ছপদের রাখা হয়। যাতে সকলের দেখতে ভাল লাগে। তবে এই রূপের বাহার ছাড়াও এই কচ্ছপদের অন্য একটি গুণ রয়েছে।
এই কচ্ছপদের ওষধি প্রয়োজনে কাজে লাগে। ফলে তাদের যে চাহিদা তুঙ্গে হবে সেটাই স্বাভাবিক। এদের নাম রেড-ইয়ার্ড স্লাইডার টার্টল। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইউরোপের একাংশে এই কচ্ছপদের দেখতে পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া থেকে আসা চেন্নাইয়ের ওই ২ যুবক অবশ্য কচ্ছপগুলি লুকিয়ে নিয়ে আসে। তাদের কাছে বৈধ কাগজ ছিলনা। ফলে তা পাচার করা হচ্ছিল। ৫ হাজার ৪০০টি কচ্ছপ তারা নিয়ে আসে। যা চেন্নাই বিমানবন্দরে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাদের ২ জনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এদিকে এই সুন্দর দেখতে কচ্ছপদের নিয়ে কিন্তু বড় একটা খুশি নন ভারতের প্রাণি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞেরা। কারণ এই কচ্ছপরা ভারতের বাসিন্দা নয়।
এরা এমন প্যাথোজেন সঙ্গে করে নিয়ে আসে যা ভারতের বাসিন্দা প্রাণিকুল, এমনকি মানুষের জন্যও অপকারি। তাছাড়া তারা ভারতের মাটিতে ঘোরা মানে এখানকার বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা