ভারতের আকাশে ছবি আঁকতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিল রংয়ের বাহার
ভারতের কয়েক জায়গায় নীল আকাশ এক দিগন্ত ছোঁয়া ক্যানভাসের রূপ নিয়েছে। যেখানে রংয়ে রংয়ে মাতিয়ে ছবি আঁকছে কয়েক হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা রংয়েরা।
প্রকৃতির চেয়ে বড় শিল্পী কেউ হয়না। আর সেই রংয়েই ছবি আঁকার কাজ চলছে। এই ছবি নীল আকাশের বুকে ছবি। কথা চলছে অনর্গল। শিল্পীরা কথা বলছে নিজেদের মধ্যে। উড়ে যাচ্ছে আকাশে। ঢেলে দিচ্ছে তার ডানায় থাকা রং।
কাশ্মীরের শ্রীনগর শহরের অদূরে রয়েছে হোকারসার বার্ড স্যাঞ্চুয়ারি। এখানে প্রতিবছরের মতই এবারও হাজির হয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। রাশিয়ার সাইবেরিয়া বা পূর্ব ইউরোপ থেকে শুরু করে চিন, জাপান, ফিলিপিন্স থেকে নানা প্রজাতির পাখিরা এখানে হাজির হয় শীতকালে।
এখানে পৌঁছনোর জন্য হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেয় তারা। শীতকালটা এখানে কাটিয়ে ফের ফিরে যায় নিজের দেশে। তারপর ফের এক বছরের অপেক্ষা। আবার শীত আসার মুখে তারা পাড়ি দেয় ভারতের দিকে।
বহু প্রজাতির পাখি, নানা তাদের রং। সে রংয়ে এখানকার নীল আকাশ রংয়ে রংয়ে একাকার। আকাশকে ক্যানভাস বানিয়ে পাখিরা নিজেদের অস্থায়ী ঠিকানাকে সাজিয়ে তোলে। কুট, ওয়াইজিয়ন, ব্রাহমিনি ডাক, পোচার্ড, টাফড ডাক, সেলডাক, গ্রেল্যাগ-এর মত নানা প্রজাতির পাখিরা শুধু যে রঙের বাহারে মাতিয়ে রাখে তাই নয়, তাদের নানা ডাক মুখর করে রাখে চারধার।
পাখির নানাধরনের ডাক শুনতেও বহু মানুষ কান পেতে থাকেন এখানে। ভোর থেকে সন্ধে, সারাক্ষণই তাদের ব্যস্ত ডাকাডাকি হয়ে চলে। গতবছর ১২ লক্ষ পরিযায়ী পাখি এখানে ভিড় করেছিল। এবারও তেমনই হবে বলে মনে করছেন এখানকার কর্মকর্তারা।
শতাধিক প্রজাতির পাখি প্রতিবছর এখানে শীত পড়লে হাজির হয়। তারমধ্যে আবার স্যান্ডহিল ক্রেন বা করমোব়্যান্টরা শীতের সময় মাত্র ৩ থেকে ৪ মাসই এখানে থেকে ফের উড়ে যায়। আবার কিছু পাখি হেমন্তেই হাজির হয়। ফিরে যায় বসন্তের কিছুটা সময় কাটানোর পর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা