অতি বিরল প্রাণিটির দেখা যে এদেশেও পাওয়া যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি
এই প্রাণি অতি বিরলের দলে পড়ে। তবুও যেটুকু দেখা যায় সে তালিকায় ভারত পড়েনা। সে কীভাবে এদেশে এসে দেখা দিল তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই।
এখন কাশ্মীরে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। তার মধ্যেই কাশ্মীরের বারামুলা জেলার বোনিয়ার এলাকার নুরখা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা শনিবার ভোরের দিকে গ্রামের কাছের একটি ঝর্নার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁদের নজরে পড়ে এক প্রাণি।
সারা গা লোমশ। মাথার শিংটা কেমন যেন পেঁচিয়ে উঠেছে। এমন প্রাণি তো এখানে দেখা যায়না। এটা কি তা না বুঝতে পেরে তাঁরা দ্রুত বন দফতরে খবর দেন। বন দফতর দ্রুত সেখানে হাজির হয়ে প্রাণিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তার জীবনধারণের যোগ্য স্থানে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
কাশ্মীরে এই প্রাণির দর্শন অতি বিরল। কারণ এদের মূলত পাওয়া যায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও হিমালয়ের কিছু অংশে। পাকিস্তানের জাতীয় পশুও এটি। পাকিস্তানে এদের স্ক্রু হর্নড গোট বা পেঁচানো শিংয়ের ছাগল বলে ডাকা হয়।
তবে ভারতে তাদের ডাকা হয় মারখোর নামে। মারখোর শব্দের অর্থ হল সর্পভুক ছাগল। তার মানে এরা সাপ খেয়ে নেয়। কাশ্মীরের লোকমুখে প্রচলিত প্রাচীন কাহিনিতে এই মারখোরের উল্লেখ রয়েছে।
এদিন যে মারখোরটি উদ্ধার হয় তা পাকিস্তান থেকে লাইন অফ কন্ট্রোল পার করে ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বারামুলায় মারখোর নেই।
বিরলতার নিরিখে আন্তর্জাতিকভাবে লাল তালিকাভুক্ত এই প্রাণি ২ হাজার থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে খুব বেশি উচ্চতায় সাধারণত স্ত্রী মারখোররাই থাকে।
পুরুষ মারখোররা থাকে পাহাড়ের নিচের দিকের জঙ্গলে। সেটাও গ্রীষ্মকালে। শীতে এরা নিজেদের মধ্যে মিলিত হয়। স্ত্রী মারখোররা সন্তান প্রসব করে। এই ছাগলরা পোষ মানে না। সাধারণত দলবেঁধে থাকতে পছন্দ করে এরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা