বন্য পশুতে ভরা গভীর জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ফেলল গুগল ম্যাপ, আতান্তরে পরিবার
অচেনা রাস্তা চিনতে এখন মানুষ গুগল ম্যাপে ভরসা করেন। কিন্তু সেই গুগল ম্যাপই এক পরিবারকে নিয়ে গিয়ে ফেলল এক বন্য জন্তুতে ভরা গহন অরণ্যে।
সব রাস্তা সকলের চেনা নয়। ফলে তাঁদের রাস্তা চিনতে কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয়। নাহলে ভরসা করতে হয় গুগল ম্যাপের ওপর। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাঁরা গাড়ি নিয়ে যাত্রা করছেন এবং রাস্তা চেনেন না তাঁরা গুগল ম্যাপে ভরসা রাখেন।
গুগল অনেককে সঠিক রাস্তাও জানায়। কিন্তু যখন সমস্যায় ফেলে তখন প্রাণ নিয়ে টানাটানি হয়ে যায়। একটি পরিবারকে গুগল ম্যাপ যেখানে নিয়ে গিয়ে ফেলেছিল সেখানে যে তাঁরা কোনও বন্যপ্রাণির পেটে যাননি এই অনেক।
একটি পরিবার গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল গোয়া। কর্ণাটকের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় তারা এক জায়গায় রাস্তা চিনতে পারছিলনা। রাতও হয়েছিল। তাই তারা গুগল ম্যাপে ভরসা করে রাস্তা চিনে এগিয়ে চলে।
এভাবে এগিয়ে যেতে যেতে পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন যে তাঁরা একটি জঙ্গলের পথে প্রবেশ করছেন। কিন্তু গুগল যখন দেখাচ্ছে তখন নিশ্চয় ওই পথেই গন্তব্য।
এই বিশ্বাসে তাঁরা এগিয়ে যেতে থাকেন। জঙ্গল আরও গভীর হতে থাকে। রাতও অনেকটা হয়েছে। ৮ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করার পর তাঁরা কার্যত রাস্তাই আর দেখতে পাননি। চারধারে শুধুই জঙ্গল। এ কোথায় এসে পড়লেন তাঁরা!
এই পর্যন্ত এসে তাঁরা থেমে যান। বুঝতে পারেন গুগল তাঁদের একদম ভুল পথে নিয়ে এসেছে। তাঁরা একটা ভয়ংকর জঙ্গলের মাঝখানে আটকে পড়েছেন।
সাহায্যের জন্য মোবাইল কাজে লাগিয়ে ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইলে ফোন যাচ্ছিল না। নেটওয়ার্কের সমস্যা। রাতে আর জঙ্গলে না ঘুরে তাঁরা রাতটা গাড়িতেই কাটিয়ে পরদিন ভোরে জঙ্গলের মধ্যেই হাঁটতে থাকেন পরিবারের এক সদস্য।
অনেকটা পথ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটার পর অবশেষে নেটওয়ার্ক পেয়ে ফোন করেন পুলিশের কাছে। ফোন পেয়ে পুলিশ তাঁদের ওই জঙ্গলের মাঝখান থেকে উদ্ধার করে।
কর্ণাটকের ভীমগড় জঙ্গল যেমন গহন তেমনই বিপদসংকুল। কারণ এ জঙ্গলে হিংস্র জানোয়ারের অভাব নেই। আশপাশের গ্রামে প্রায়ই ভাল্লুকের হামলা হয়।
সেখানে জঙ্গলের মধ্যে থেকেও যে ওই পরিবারকে কোনও হিংস্র পশু আক্রমণ করেনি এটাই অনেক কিছু বলে মনে করছে পুলিশ। খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।