হেডস্যার বাজার করতে গেছেন, শুনে মাথায় হাত শিক্ষা সচিবের
স্কুল চলছে। ছাত্ররা হাজির। কিন্তু হেডস্যার নেই। হেডস্যার কোথায় জানতে গেলে ছোটখাটো ধাক্কা খেলেন শিক্ষা সচিব। তবে চুপ করে মেনেও নিলেন না।

স্কুলের পরিস্থিতি দেখতে চেয়ে ওই গ্রামের এক স্বেচ্ছাসেবককে ফোন করেছিলেন অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব। ভিডিও কলে স্কুলটির পরিস্থিতি দেখাতে বলেন। কথা বলতে চান হেডস্যারের সঙ্গে। কিন্তু ভিডিও কলে স্কুলের হাল দেখে কার্যত তিনি তাজ্জব হয়ে যান।
স্কুলে ২টি মাত্র ক্লাসই সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তার একটিতে ছাত্র সংখ্যা ১৩ জন। অন্যটিতে ২২ জন। অথচ খাতায় কলমে স্কুলের মোট ছাত্র সংখ্যা ১৩৭ জন।
সেই ভিডিওতে হেডস্যার ছাড়াও ৬ জন শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন সেখানে। স্কুলে ভিডিও কল করতে গিয়ে শিক্ষা সচিব জানতে পারেন, হেডস্যার স্কুলে এসে বেরিয়ে গেছেন। কোথায় গেছেন?
জানা যায় হেডস্যার গেছেন বাজার করতে। বাড়ির আনাজ কিনতে বাজারে। ফলে তিনি স্কুলে নেই। স্কুল চলাকালীন বাড়ির বাজার করতে বেরিয়ে গেছেন হেডস্যার! চমক এখানেই শেষ হয়নি।
এরপর খোঁজ পড়ে বাকি শিক্ষকদের। দেখা যায় ৬ জন শিক্ষক থাকলেও উপস্থিত কেবল ১ জন। একটা স্কুলের ২টি মাত্র ক্লাস সক্রিয়। আর পুরো স্কুল সামাল দিচ্ছেন মাত্র ১ জন শিক্ষক! বাকিরা কোথায়?
বাকিরা নাকি দলবেঁধে বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করতে জেলা অফিসে গিয়েছেন। আর এভাবেই হেডস্যার ছাড়া, সিংহভাগ শিক্ষক ছাড়া একটি স্কুল চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মধুবনী জেলার মুসারি এলাকার একটি স্কুলে।
বিহারে গ্রামে গ্রামে টোল সেবক নামে ১ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত রয়েছেন। তাঁদের কাজ তাঁদের দায়িত্বে থাকা গ্রামের শিক্ষার উন্নতি ও সেখানকার মহিলা ও শিশু কল্যাণে নজর দেওয়া।
অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব সেই টোল সেবককে ফোন করেই ওই স্কুলের ভিডিও কল করেছিলেন। হেডস্যারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা