যখন তখন হানা দেয় এ জলাশয়ের জল, মানুষকে বাঁচাতে নতুন আয়োজন
জলাশয় প্রয়োজন। কিন্তু এমন জলাশয় মানুষ চায়না যা তাদের জন্য রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। তবে তাকে রুখে দিতে বিশেষ আয়োজন শুরু।
জলাধার সর্বদাই প্রয়োজনীয়। কিন্তু এমনও জলাশয় রয়েছে যা তার আশপাশের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। যেমন হিমবাহ থেকে তৈরি জলাশয়। পাহাড়ের সারি থাকলে অনেক সময় পাহাড়ের অনেক উঁচুতে তৈরি হওয়া খাঁজে তৈরি হয় হিমবাহ গলা জলের দিঘি।
পাহাড় ঘেরা সেই জল হিমবাহ থেকে গলা বরফ জলে পুষ্ট বটে, তবে তা মাঝে মাঝেই ছাপিয়ে গড়িয়ে পড়ে আশপাশ দিয়ে। পাহাড়ের অনেকটা ওপর থেকে গড়িয়ে পড়ায় সে জল অত্যন্ত গতিতে নেমে আসে নিচের দিকে।
পথে যা পড়ে যা ধুয়ে মুছে নিয়ে যায়। সে মানুষের বসতি হতে পারে, ক্ষেত জমি হতে পারে, গ্রাম হতে পারে। জম্মু কাশ্মীরে এই হিমবাহ গলা জলে তৈরি জলাশয়ের জল উপচে বারবার সংকটের মুখে পড়তে হয় আশপাশের বাসিন্দাদের।
সেক্ষেত্রে এই ধরনের হিমবাহ গলা জলের দিঘিগুলির ওপর বৈজ্ঞানিক নজরদারি শুরু হয়েছে। এগিয়ে এসেছে জম্মু কাশ্মীর সরকার। এমন ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে এই জল উপচে পড়ার আগেই তার খবর পাওয়া যায়।
তাতে ভয়ংকর বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। জম্মুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুনীল ধরের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল তৈরি করা হয়েছে।
এই হিমবাহ গলিত জল থেকে তৈরি জলাশয় উপচে যাওয়ার জেরে ক্ষয়ক্ষতি রুখে দেওয়া এবং প্রয়োজনে এই জল উপচে পড়া কীভাবে ঠেকানো যায় তার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই দলটিকে। অধ্যাপক সুনীল ধরের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দলটি আপাতত সেই কাজে ব্যস্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা