৬ জনকে বিয়ে করে সপ্তম বিয়েতে আটকে গেল গুণধর পাত্রী
একেবারে সিনেমার মত ঘটনা। তরুণী একের পর এক বিয়ে করে চলেছিল। অবশেষে সপ্তম বিয়ে করতে গিয়ে আটকে গেল গুণধর পাত্রীর ছক।
বিয়ে করেননি, কিন্তু বিয়ে করতে ইচ্ছুক। এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বার করা ছিল ২ ব্যক্তির দায়িত্ব। তারা এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বার করে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার টোপ দিত। তাতে যাঁরা পা দিতেন তাঁদের তারা বলত বিয়েতে দেড় লক্ষ টাকার মত খরচ করতে হবে।
রাজি হলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করাত ওই ২ ব্যক্তি। তরুণীর সঙ্গে তার মা থাকত। যদিও পরে জানা গেছে আসল নয়, ওই মহিলা ছিল সাজানো মা।
এভাবে ওই তরুণী বিয়েতে রাজি হত। তার মা সায় দিত। বিয়ে হত। তারপর বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি এসে ফাঁক বুঝে সেখান থেকে সব টাকা পয়সা, গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট দিত তরুণী।
তারপর শুরু হত আর এক স্বামীর খোঁজ। এভাবে একই পদ্ধতিতে ৬ ব্যক্তিকে লুঠ করেছে পুনম মিশ্র নামে ওই তরুণী। এবার ওই দলের টার্গেট ছিল সপ্তম জন।
ওই ব্যক্তিও প্রাথমিকভাবে বিয়েতে রাজি হয়ে যান। তাঁকে আদালত চত্বরে ডাকে ওই ২ মহিলা ও ২ পুরুষের তৈরি গ্যাং। একইভাবে মা ও মেয়ের সঙ্গে ওই ২ ব্যক্তি আলাপ করিয়ে দেয়।
কিন্তু কথা বলার সময় বিয়ে করতে আসা ব্যক্তির সন্দেহ হয়। তিনি ওই তরুণী ও তার মা হিসাবে পরিচয় দেওয়া মহিলার আধার কার্ড দেখতে চান। বেফাঁস বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তিকে এবার বিয়ে করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে তারা।
তবে বুদ্ধি করে ওই ব্যক্তি বিয়ে করার জন্য কিছুটা সময় চেয়ে নেন তাদের কাছে। তারপর বেরিয়ে সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। খুলে বলেন সব কথা।
এরপরই পুলিশ তৎপর হয়। গ্রেফতার করা হয় ২ মহিলা ও ২ পুরুষকে। তারা যে আগে ৬ ব্যক্তিকে এভাবে লুটেছে তারও খবর পেয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দা অঞ্চলে।