স্বর্গীয় রূপে সেজে উঠেছে পাহাড়, পর্যটকদের সেদিকে ফিরেও তাকানোর সময় নেই
শীতের দিনে পাহাড়ের অন্যই রূপ। বরফে ঢাকা পাহাড়ের টানে পাহাড়ি জায়গায় ছুটে যান পর্যটকেরা। পাহাড়ও তার মতই সেজেছে। কিন্তু পর্যটকদের সেদিকে ঘুরেও তাকানোর সময় নেই।
শীতের দিনে পাহাড়ের এক আলাদাই রূপ। সেই বরফের চাদরে ঢাকা পাহাড়ের সেই মাতাল করা রূপে বুঁদ হতে বহু মানুষ ছুটে যান সেখানে। উপভোগ করেন বরফের চাদরে ঢাকা হিমালয়কে।
উত্তরাখণ্ডের নানা পর্যটনস্থলে তাই বড়দিনের আগে থেকেই ভিড় উপচে পড়ছিল। বছর শেষে ছুটির আবহ দেশ জুড়ে। তাই এই ছুটিতে অনেকেই পাহাড়ে হাজির হয়েছেন।
কিন্তু যে পাহাড় দেখতে, বরফের রূপ চুটিয়ে উপভোগ করতে তাঁদের পাহাড়ে পৌঁছনো, সেই রূপের দিকেই নজর নেই পর্যটকদের। তাঁরা এখন অন্য চিন্তায় বিভোর। পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়েও তাঁদের কপালে চিন্তার পুরু ভাঁজ।
উত্তরাখণ্ডের আউলি থেকে যোশীমঠ, দেরাদুন থেকে পিথোরাগড়, উত্তরাখণ্ডে হিমালয়ের পাহাড় সারি, পাহাড়ের ঢাল, উপত্যকা বরফের মুড়ে গেলেও সে বরফ দূর থেকে যেমন সুন্দর, যাত্রাপথে ততটাই ভয়ংকর।
আর সেই ভয়ংকর এখন তাড়া করে বেড়াচ্ছে একের পর এক জাতীয় সড়ক থেকে পাহাড়ি রাস্তা সর্বত্র। পুরু বরফ পড়ায় অনেক রাস্তাই হারিয়ে গেছে। জেসিবি মেশিন এনে বরফ কেটে রাস্তা বার করার কাজ চলছে।
রাস্তা কোথাও উঁকি দিলেও বরফের জন্য এতটাই পিচ্ছিল যে তার ওপর দিয়ে গাড়ি হড়কে যাচ্ছে। মোটরবাইক এতগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যে তা গুনে বলা মুশকিল।
রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে পাহাড়ে সর্বত্রই প্রায় যানজট। গাড়ি এগোনোর নাম নিচ্ছে না। ফলে ঠায় গাড়িতে অপেক্ষায় থেকে, পিচ্ছিল রাস্তার আতঙ্ক নিয়ে মানুষ অপেক্ষা করছেন কখন তাঁরা সেই পথ ধরে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
আউলিতে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে জাতীয় স্কিইং প্রতিযোগিতার আসর বসে। এবার প্রতিযোগীরা আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে পৌঁছতে পারছেন না।
দেরাদুনে তিউনি চাকরাতা মুসৌরি জাতীয় সড়কে ৩০ কিলোমিটার লম্বা যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুরু বরফের চাদর কার্যত উত্তরাখণ্ডের সব পাহাড়ি পথই স্তব্ধ করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় পর্যটকরা পরিবার নিয়ে আটকে পড়েছেন। দ্রুত রাস্তা সচল করার চেষ্টা করছে উত্তরাখণ্ড সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা