হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, ডালও জমে বরফ হয়ে গেল
এমন দাপুটে ঠান্ডা যে কিছুই আর জমে যাওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছেনা। এবার ঠান্ডার চোটে ডালও জমে বরফ হয়ে গেল।
গরম বড়দিন কাটানোর পর পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাভাস বলছে বছর শেষটাও গরমেই কাটাতে হবে। কনকনে ঠান্ডায় রংবেরংয়ের গরম পোশাকে শরীর মুড়ে ষোলোআনা আনন্দে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়াটা বোধহয় হচ্ছেনা।
বড়দিনের মেঘ কাটলেও গরম যে রয়েছে তা জানান দিচ্ছে বক্সিং ডে-র কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের যখন এমন অবস্থা তখন ভারতের উত্তর প্রান্ত অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাঁপছে। জম্মু কাশ্মীরে তো চিল্লাই কলন শুরু হয়ে গেছে।
যেখানে ২১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চিল্লাই কলন। স্থানীয়রা এই ৪০ দিনকে চিল্লাই কলন বলেন কারণ কাশ্মীরের সবচেয়ে ঠান্ডা দিনগুলো এই ৪০ দিনেই অতিবাহিত হয়।
এবার সেই চিল্লাই কলন শুরুর আগে থেকেই অতি ঠান্ডায় কাবু উপত্যকা। চারধার বরফে ঢেকে গেছে। ডালও অবশেষে বরফ হয়ে গেল।
কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেক পৃথিবী বিখ্যাত। ডাল লেকে হাউস বোটে রাত কাটানো, শিকারায় লেকের জলে ভেসে বেড়ানো ভারতবাসী তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরও স্বপ্ন।
সেই বিখ্যাত ডাল লেক ঠান্ডায় বরফ হয়ে গেল। ডাল লেকের উপরিভাগের জল পুরু বরফ হয়ে গেছে। হবে নাই বা কেন! শ্রীনগরে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে।
গুলমার্গে এখন পারদ মাইনাস ৬ ডিগ্রি। পহেলগামে পারদ নেমেছে মাইনাস ৮.৬ ডিগ্রিতে। কাশ্মীর উপত্যকায় এখন সকালেও রাস্তায় একটা মানুষের দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। চারধার বরফে ঢাকা। রাস্তা বলে কিছু দেখা যাওয়াই দায়।
যদিও বা কোথাও দেখা যাচ্ছে তো তা এতটাই পিচ্ছিল যে সেখান দিয়ে হাঁটতে গেলেই পিছলে যাচ্ছেন মানুষজন। অধিকাংশ মানুষই অতি প্রবল ঠান্ডায় ঘরের মধ্যেই থাকছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা