মাটি খুঁড়ে মিলল ঐতিহাসিক পাতকুয়ো, স্থানীয়রা জানালেন তার পৌরাণিক জন্ম কথা
এখানে এক এক জায়গায় মাটি খোঁড়া হচ্ছে আর একবার করে বিস্মিত হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ থেকে বিশেষজ্ঞেরা। মাটির তলায় বিশাল এলাকা জুড়ে যেন ইতিহাস ধামাচাপা পড়ে আছে।
প্রথমে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছিল বাঁকেবিহারী মন্দির। তারপর সেই মন্দির যেখানে পাওয়া যায় তার কাছেই মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় স্টেপওয়েল বা ভাভ। স্তরে স্তরে নেমে নিচে বিশাল জলাশয়। এটাই স্টেপওয়েলের বিশেষত্ব।
এছাড়া একটি সুড়ঙ্গেরও খোঁজ পাওয়া যায় সেখানে। এটি পাওয়া যায় চন্দৌসি এলাকায়। এবার সেই সম্ভলের মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক ঐতিহাসিক পাতকুয়ো।
এ পাতকুয়োটি অতি গভীর বলেই দাবি করছেন স্থানীয়রা। যদিও ঐতিহাসিক থেকে প্রত্নতাত্ত্বিকরা পাতকুয়োটি এখনও সেভাবে পরীক্ষা করে উঠতে পারেননি। সেটা পাওয়া গেছে এই পর্যন্ত।
তবে স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই সে পাতকুয়ো কীভাবে তৈরি হল বলে তাঁদের বিশ্বাস তা জানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, এ পাতকুয়ো আর কেউ নন, স্বয়ং ভগবান ব্রহ্মা সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দাবি পৌরাণিক গ্রন্থে এই কুয়োর কথা উল্লেখ আছে। এখানে এমন ১৯টি পাতকুয়ো তৈরি করেছিলেন ভগবান ব্রহ্মা।
এই কুয়োর কাছেই হরিহর মন্দির। সেই মন্দিরের বিভিন্ন আচার বিচারের সঙ্গে এই পাতকুয়োর যোগ আছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁরা এও দাবি করেছেন তার উল্লেখ পুরাণে রয়েছে।
তবে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল যে ক্রমে এক ঐতিহাসিক গুপ্তধনে পরিণত হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। কারণ সম্ভল জুড়ে যেখানেই মাটি খোঁড়া হচ্ছে সেখানেই কিছু না কিছু মাটির তলা থেকে পাওয়া যাচ্ছে। মাটির তলা থেকে যে সব ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি যত্ন করে রক্ষা করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা