সবুজ শাড়িতে সবুজ সেনা পেল প্রধানমন্ত্রীর চিঠি, পথ দেখাল জুতো
সবুজ শাড়ি তাঁদের পরনে। তাঁরা সবুজ সেনা। এটাই তাঁদের পরিচিতি। তাঁদের এবার আনন্দে ভিজল চোখ। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এল চিঠি।
তাঁরা সকলে সবুজ রংয়ের শাড়ি পরেন। একই রং সকলের পরনে শোভা পায়। তাঁরা থেমে থাকেন না। ভাবনাকে বাস্তব করতে ছুটে চলেন। এতদিন তাঁরা সামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর করতে প্রতিটি ঘরে কড়া নাড়েন তাঁরা।
কখনও বোঝান কন্যা সন্তান হলে উৎসবে মেতে ওঠার প্রয়োজন। কখনও বোঝান পণ প্রথা এক সামাজিক ব্যাধি। এ থেকে যেন সকলে দূরে থাকেন। কখনও আবার নেশা এবং জুয়ার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে একত্রে রুখে দাঁড়ান তাঁরা।
বারাণসী থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে দেওরা নামে একটি গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা নির্মলা দেবীর নেতৃত্বে স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সবুজ বাহিনী। এঁরা সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত করার লড়াই তো চালিয়ে যাচ্ছিলেনই, এবার তার সঙ্গে জুড়লেন ব্যবসাতেও।
গ্রিন আর্মি বা সবুজ বাহিনী তাদের একটি জুতো তৈরির কারখানা তৈরি করেছে। সেখানে তৈরি প্রথম চপ্পলটি তারা বিক্রি করেনি। সেটি তারা পাঠিয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে।
প্রধানমন্ত্রী যে তাঁদের এই উদ্যোগ দেখে খুশি হয়ে চিঠি পাঠাবেন তা হয়তো ভাবতে পারেননি দেওরা গ্রামের ওই মহিলারা। তাই যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তাঁদের এই জুতো তৈরির প্রচেষ্টার জন্য বাহবা জানিয়ে চিঠি এল তা হাতে পেয়ে তাঁরা আপ্লুত।
চোখ ভিজে যায় আনন্দাশ্রুতে। নির্মলা দেবীর মতে, এই চিঠি হাতে পেয়ে তাঁদের মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যেন তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রও এই বারাণসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা