মরুর বালিতে কোপ পড়তেই বিস্ময়কর ঘটনা, সরস্বতী নদী জেগেছে বলে দাবি স্থানীয়দের
সোনার কেল্লার কাছে ফের এক রহস্যময় বিস্ময়। যা দেখে স্থানীয়রা বেশ জোর গলায় দাবি করছেন এটা হারিয়ে যাওয়া সরস্বতী নদী।
বাঙালির কাছে জয়সলমীর আর সোনার কেল্লা সমার্থক হয়ে গেছে। জয়সলমীরের প্রধান আকর্ষণই এখানকার হলুদ চুনাপাথরের তৈরি বিশাল কেল্লা। যা বাঙালির কাছে সোনার কেল্লা। সেই জয়সলমীরে এবার আরও এক বিস্ময়কর ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
এখানে একটি কুয়ো খননের কাজ শুরু হয়েছিল। এজন্য গর্ত কাটার দরকার। কিন্তু সে কাজ শুরু হতেই আচমকা দেখা যায় মাটির তলা থেকে হুড়হুড় করে জল বার হচ্ছে। জল বার হতেই থাকছে। সঙ্গে বার হচ্ছে গ্যাসও।
কিছুতেই তা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। এমন ধুধু বালির প্রান্তরে এত জল! স্থানীয়রা ছুটে আসেন তা দেখার জন্য। ততক্ষণে আশপাশ রীতিমত জলে ভাসছে। জল বেরিয়েই চলেছে। এটা দেখার পর স্থানীয়রা দ্রুত একটি বিষয়ে একমত হয়ে যান।
সকলের দাবি, সরস্বতী নদী জেগে উঠেছে। প্রসঙ্গত সরস্বতী নদীর উল্লেখ ভারতীয় পুরাণ ও মহাকাব্যে রয়েছে। আবার এটি ঐতিহাসিকভাবেও স্বীকৃত। কিন্তু সে নদী অনেক আগেই শুকিয়ে গেছে বা অন্তঃসলিলা বলে মনে করা হয়।
সেই নদীই নাকি জয়সলমীরের এই জলের কারণ। এই জল হাজার হাজার বছর আগে এখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সরস্বতী নদীর জল বলেই স্থির বিশ্বাস স্থানীয়দের।
যদিও আসল ঘটনা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। জয়সলমীরের মোহনগড় ক্যানাল এলাকায় টিউবওয়েল খনন শুরু হওয়ার পর গর্ত করতে গিয়ে একটি গ্যাস পাইপ ফেটে যায়।
সেই গ্যাসের চাপেই জল উপরে উঠে ওভাবে ফোয়ারার মত বেরিয়ে এসেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে টিউবওয়েল তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে জল বেরিয়ে আসাও বন্ধ করা গেছে।