এ শহরে আর ভিক্ষা করা যাবেনা, কেউ ভিক্ষা দিলেও কড়া শাস্তি
এ শহরে ভিক্ষুক আর দেখতে পাওয়া যাবেনা। এমনকি কেউ যদি কাউকে ভিক্ষা দেন, তাহলে তাঁকেও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ট্রাফিক সিগনালে ভিক্ষা অনেক সময় দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যটনস্থলে ভিক্ষুকদের জন্য মানুষের সমস্যা হচ্ছে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানেও ভিক্ষুকরা সেখানে আগতদের অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। এমনকি শহর প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ হল অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও শহরে ভিক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে।
এসবই বন্ধ করা হচ্ছে আইন করে। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে আইন করেই বন্ধ হচ্ছে ভিক্ষা। এমনকি আইন এতটাই কড়া হচ্ছে যে ভিক্ষা করা যেমন যাবেনা, তেমন কেউ ভিক্ষা দিলেও তাঁর শাস্তি হবে।
শহরবাসীকে জানানো হয়েছে তাঁরা যেন কাউকে ভিক্ষা প্রদান না করেন। এমনকি ভিক্ষুকদের কাছ থেকে কিছু কিনতেও মানা করা হয়েছে।
অর্থের তাড়নায় জীবনে বেঁচে থাকার জন্য ভিক্ষাবৃত্তির পথ গ্রহণ করতে অনেকে বাধ্য হন। তাহলে তাঁদের কি হবে? একেই তো খিদের যন্ত্রণা, জীবনে ন্যূনতম চাহিদা পূরণে ভিক্ষা করতে হচ্ছে তাঁদের। সেই সুযোগ কেড়ে নিলে কি হবে?
সে পথও পরিস্কার করে দিয়েছে ভোপাল প্রশাসন। জানানো হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি শহরে বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি শহরের ভিক্ষুকদের নির্দিষ্ট করে তাঁদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এজন্য কোলারে পুনর্বাসন কেন্দ্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ফলে শহরে ভিক্ষা বন্ধ হলে তাঁরা যে মাথা গোঁজার স্থান বা অন্ন থেকে বঞ্চিত হবেন তা নয়। এ বার্তা ভিক্ষুকদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা দুশ্চিন্তার শিকার না হন।
তবে ভোপাল শহরকে ভিক্ষুক মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেই স্থির করেছে ভোপাল প্রশাসন। এজন্য প্রয়োজনীয় আইনও আরোপ হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা