মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার অপেক্ষা, চোখের সামনে থেকে ভ্যানিস শয়ে শয়ে ফুলের টব
মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রচুর ফুলে ফুলে সাজিয়ে ফেলা হয়েছিল অনুষ্ঠানস্থল। তিনি গাড়িতে চড়ার অপেক্ষা। তারপরই ভ্যানিস হয়ে গেল শয়ে শয়ে ফুলের টব।

যে কোনও রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুষ্ঠান থাকলে সেই অনুষ্ঠানস্থল ফুলের সাজে সাজানো হয়। তেমনই করা হয়েছিল বিহারের বক্সারে। সেখানে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আসার কথা ছিল প্রগতি যাত্রা উপলক্ষে।
বক্সারের জেলা গেস্ট হাউসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে স্থানীয় যে ফুলের নার্সারিগুলি রয়েছে সেখান থেকে প্রচুর ফুলের টব ভাড়া করে আনা হয়েছিল সাজানোর জন্য।
অনেক ফুলের টব কেনাও হয়েছিল। পুরো চত্বর নানা রঙিন ফুলে ভরে ফেলা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হন নীতীশ কুমার। অনুষ্ঠান শেষ করে তিনি গাড়িতে চড়ে অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার অপেক্ষা। তারপরই যা শুরু হয়ে যায় তার জন্য না জেলা প্রশাসনের কর্তারা, আর না পুলিশ প্রস্তুত ছিল।
দেখা যায় নীতীশ কুমার অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন হুড়মুড়িয়ে ফুলের টবগুলির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। সে দলে মহিলা ও শিশুরাও ছিল। তাঁদের টবে হাত দিতে বারণ করারও সময় পাননি প্রশাসনিক কর্তারা।
তার আগেই চোখের নিমেষে ওই শত শত ফুলের টব লুঠ হয়ে যায়। দিনের আলোয় পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে এমনভাবে টব লুঠ হয় যে অত ফুলের টবের একটিও অবশিষ্ট ছিলনা গোটা চত্বরে। এই ঘটনায় কার্যত হতবাক প্রশাসন।
এদিকে এখন প্রশ্ন উঠছে এই লুঠের পর ফুলের টবের জন্য যে খরচ তা কে বহন করবে। এজন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল। ধরপাকড়ই বা কাকে করবে পুলিশ। তাহলে তো গোটা এলাকার সিংহভাগ মানুষকেই পাকড়াও করতে হয়! পুরো ঘটনায় মাথায় হাত বক্সার প্রশাসনের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা