কোনও যানজট নেই, ৫৫০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে নিশ্চিন্তে কুম্ভস্নান করে ফিরলেন ৭ যুবক
কুম্ভমেলায় পৌঁছনোই এখন একটা চ্যালেঞ্জ। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট। ট্রেনে ওঠা যাচ্ছেনা। তা সত্ত্বেও অন্য উপায়ে কোনও বাধা ছাড়াই কুম্ভস্নান করে ফিরলেন ৭ যুবক।

কুম্ভমেলায় পৌঁছনোই এখন দায়। নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেনে চড়ার ধস্তাধস্তি কেড়েছে ১৮টি প্রাণ। এমন পদপিষ্টের ঘটনা আরও ঘটেছে। ট্রেন ভাঙচুর হচ্ছে। ট্রেনে এসি কামরাতেও থিকথিক করছে মানুষ। বহু স্টেশনেই টিকিট থাকা সত্ত্বেও মানুষ ট্রেনে চড়তে পারছেন না।
সড়কপথেও একই অবস্থা। ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজে ঢোকার আগে ৩০০ কিলোমিটারের যানজট খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। অনেকেই কুম্ভমেলা পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। অনেকে বারাণসীতেই কুম্ভস্নান সেরেছেন। অনেকে মাঝপথ থেকেই ফিরে গেছেন বাড়ি।
এমন এক পরিস্থিতিতে বিহারের বক্সারের বাসিন্দা ৭ যুবক নিশ্চিন্তে ঘুরে এলেন কুম্ভ। কোনও বাধা ছাড়াই পৌঁছলেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণীতে। স্নান করলেন। তারপর ফের বক্সারে ফিরে এলেন। অথচ যানজট, ভিড়, রেলে না উঠতে পারা, এসব কোনও ঝামেলাই তাঁদের ছুঁতে পারল না।
বিহারের ৭ যুবক রীতিমত খবর হয়ে গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো তাঁদের কথা ক্রমশ ছড়াচ্ছে। কোন ম্যাজিক উপায়ে তাঁরা কুম্ভস্নান সারলেন?
তাঁরা দাবি করেছেন, নিশ্চিন্তে কুম্ভ পৌঁছতে তাঁরা বক্সার থেকে নৌকায় চেপে বসেন। তারপর গঙ্গায় ভেসে এগিয়ে যান প্রয়াগরাজের দিকে। সঙ্গে নেন স্টোভ, তেল, আটা, চাল, আনাজপাতি।
নৌকাতেই পালা করে রান্না করেছেন। কেউ নৌকা টেনেছেন। কেউ বিশ্রাম নিয়েছেন। এভাবে ২ দিনে তাঁরা সোজা পৌঁছে যান কুম্ভে। সেখানে একটি পন্টুন ব্রিজের কাছে নৌকা বেঁধে রেখে হেঁটে ব্রিজ পার করে স্নান সারেন।
তারপর ফের ফিরে আসেন নৌকায়। ভেসে পড়েন বক্সারের উদ্দেশে। যে পথে ভেসে এসেছিলেন, সেই পথেই ভেসে ফের গঙ্গা দিয়ে পৌঁছে যান বক্সারে নিজেদের বাড়ি। কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়াই পুণ্যস্নান সেরেছেন তাঁরা। শুধু যাতায়াত মিলিয়ে গঙ্গায় পাড়ি দিতে হয়েছে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার পথ।