চিন্তায় ঘুম উড়েছে ভূস্বর্গের, ৯৭-এর বৃদ্ধাও বলছেন এমন জীবনে দেখেননি
কিছুদিন হল কনকনে ঠান্ডার ৪০ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ভূস্বর্গ জুড়ে। আস্তে আস্তে ঠান্ডা কমছে। কিন্তু এক নতুন চিন্তা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের।

হাড় কাঁপানো ঠান্ডার ৪০ দিন ‘চিল্লাই কলন’ শেষ হয়েছে জানুয়ারির শেষে। ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমে বদলাচ্ছে পরিবেশ। বসন্ত ক্রমে ঘিরে ধরছে ভূস্বর্গ কাশ্মীরকে। এই সময়টা স্থানীয় মানুষ থেকে পর্যটক সকলের জন্যই বেশ উপভোগ্য। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় মানুষের রাতের ঘুম উড়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রবল তুষারপাত হওয়ার পর যে আনন্দে মন ভরেছিল কাশ্মীরবাসীর তা এখন উধাও। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি তাঁদের সব স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে। কারণ এই ২ মাসে কোনও ভারী তুষারপাতই হয়নি কাশ্মীরে।
এবারের শীতে কাশ্মীর একটিমাত্র ভারী তুষারপাত পেয়েছে। তা ওই ২৮ ডিসেম্বরেই। কিন্তু চিন্তাটা কিসের? চিন্তা জলের। শীতে যত তুষারপাত হয় তা কাশ্মীরের বিভিন্ন জলাধারগুলিকে জল সরবরাহ করে। বৃষ্টিও তাই করে।
কিন্তু এবার গত জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে এখনও কোনও বড় তুষারপাত বা বৃষ্টি কাশ্মীর উপত্যকায় হয়নি। ফলে জলস্তর ইতিমধ্যেই তলানিতে। এখনও গোটা গ্রীষ্মকাল পড়ে আছে।
সে সময় তাহলে কি হবে! সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে কাশ্মীরের মানুষের। যা পরিস্থিতি তাতে ইতিমধ্যেই তাঁদের মনে আসন্ন গ্রীষ্মে তাঁদের খরার মুখে পড়তে হবে বলে ধরে নিচ্ছেন অনেকে।
গান্ডেরবল জেলার হরিপোরা গ্রামের বাসিন্দা ৯৭ বছরের ফাতিমা বিবি পরিস্থিতি দেখার পর আতঙ্কিত। তাঁর দাবি, তিনি তাঁর জীবদ্দশায় এমন পরিস্থিতি দেখেননি।
কাশ্মীর জুড়ে অধিকাংশ ঝর্না শুকিয়ে গিয়েছে। অনন্তনাগ জেলার বিখ্যাত আছাবল ঝর্না, যার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মোঘল সম্রাজ্ঞী নূর জাহান এখানে একটি বিশাল বাগান তৈরি করে ফেলেছিলেন, সেই আছাবল ঝর্নাও শুকিয়ে গেছে।
ফলে পরিস্থিতি জটিল। যা কাশ্মীরকে আসন্ন গ্রীষ্মে এক খরার মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সেখানকার স্থানীয় মানুষজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা